নির্বাচন পার করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম।
ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলটি নিবন্ধনের আবেদন করলেও সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় তখন নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।
“কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশনা মেনে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আদালতের আদেশ কমিশনের হাতে এসেছে। সে প্রেক্ষিতে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।”
এনডিএমকে নিবন্ধন ও ‘সিংহ’ প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে আমাদের দল নিবন্ধন পেল। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও আমরা হাতে পেয়েছি। এনডিএমের নিবন্ধন নম্বর ৪৩।”
নিবন্ধন পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আসন্ন উপ নির্বাচনে সিংহ প্রতীকেই ভোট করবেন বলে জানান ববি।
বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের প্রিন্স’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বড় ছেলে ববি হাজ্জাজ ২০১৩ সালে জাতীয় পার্টির রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি উইং এ সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। এর আগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন তিনি।
দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে এরশাদ ‘রহস্যময়’ অসুস্থতা নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হলে ববি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। কয়েক দিনের মাথায় যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।
২০১৫ সালে ঢাকা সিটির নির্বাচনের সময় জাতীয় পার্টি প্রার্থী ঠিক করার পর তার বিপরীতে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করায় ববি হাজ্জাজকে বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে বাদ দেন এইচ এম এরশাদ।
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৭ সালের এপ্রিলে ববি হাজ্জাজ নতুন দল ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) গঠনের ঘোষণা দেন। কিন্তু দলের নিবন্ধন না থাকায় ঢাকা-৬ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মনোনয়নে ‘হারিকেন’ প্রতীক নিয়ে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ববি।
২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এনডিএমসহ মোট ৪৩টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। তার মধ্যে ২০০৯ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পরে ফ্রিডম পার্টি এবং দশম সংসদের আগে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে।
সর্বশেষ গত বছর অক্টোবরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলের আগে প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে দেশের এখন নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪০টি।