বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। শুরুতে দুর্দান্ত খেলা ঢাকা মধ্যে জয় পেতেই ভুলে গিয়েছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খুলনা আবার জিততে শিখিয়েছে তাদের। ওই জয়েই গ্রুপ পর্বে চতুর্থ হয়ে এলিমিনেটরে খেলতে নামে ঢাকা। এরপর চিটাগংকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে খেলার স্বপ্নও দেখছে সাকিবরা। মাত্র এক সিঁড়ি মাড়ানোর অপেক্ষা তাদের।
কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে মাত্র ১৩৫ রান তুলতে পারে চিটাগং। স্বল্প এই রান নিয়ে ঢাকাকে লড়াইও উপহার দিতে পারেননি মুশফিকরা। এ ম্যাচে চিটাগং ব্যাটসম্যান কমিয়ে বেশি বোলার নিয়ে খেলে। স্পিন সহায়ক মিরপুরের উইকেটে চার পেসার ছিলেন মুশফিকের দলে। কিন্তু দলের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। শুধু বোলার দিয়ে তো ম্যাচ জেতা যায় না। ব্যাট হাতে চাই ভালো সংগ্রহও। চিটাগং তাই পেরে ওঠেনি ঢাকার বিপক্ষে।
চিটাগংয়ের হয়ে এ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মোসাদ্দেক। এছাড়া দেলপোর্ত ৩৬ এবং সাদমান খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। কিন্তু মধ্যে মুশফিক, ওপেনে ইয়াসির আলী এবং শেষটায় সানাকা-ফ্রাইলিংকরা ব্যর্থ হলে অল্প রানে আটকে যায় চিটাগং। ঢাকার হয়ে এ ম্যাচে স্পিন ঘূর্ণিতে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সুনীল নারিন।
চিটাগংয়ের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট হারায় ঢাকা। দলের হয়ে ওপেনার সুনীল নারিন ঝড় শুরু করেন। প্রথম ছয় বল থেকে ১৮ রান নিয়ে নেন তিনি। পরে ১৬ বলে ৩১ রান করে ফেরেন। প্রথম উইকেট জুটিতে তারা ৪৪ রান পেয়ে যায়। পরে রনি তালুকদারের ২০ রান আরও এগিয়ে দেয় ঢাকাকে। দলের হয়ে উপুল থারাঙ্গা ৫১ রান করে ফেরেন। পরের পথ নুরুল ২০ এবং পোলার্ড ৭ রানে অপরাজিত থেকে পাড়ি দেন।
চিটাগংয়ের হয়ে এ ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। বাকিরা বল হাতে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। জয়ী ঢাকা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর-কুমিল্লা মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে পরাজিত দল খেলবে ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। জয়ী দল যাবে ফাইনালে। এছাড়া প্রথম কোয়ালিফায়ার থেকে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়াবে।