সেবাপ্রত্যাশী মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশকে ‘সেবাধর্মী ও জনবান্ধব’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বুধবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সুশাসনের অন্যতম নিয়ামক হল আইনের যথাযথ প্রয়োগ। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
“আপনাদের নিকট সেবা নিতে আসা কোনো মানুষই যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সেবা ও পরামর্শ পায় সেদিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করে আপনারা পুলিশকে একটি সেবাধর্মী ও জনবান্ধব সার্ভিসে পরিণত করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ একটি অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এজন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বাহিনীর সব সদস্যকে আরও প্রশিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান।
“বিশ্বায়নের এ যুগে অপরাধ ও অপরাধীরা আর নির্দিষ্ট কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নেটওয়ার্কের সাথে সহজেই সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে।
“এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তা সত্ত্বেও সংঘবদ্ধ অপরাধসহ সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ সদস্যগণ যে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে জনজীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। আপনাদের এ সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভবিষ্যতে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনারা আরও প্রশিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবেন।”
অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।