ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর ২৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবারের এ হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রেভলিউশনারি গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সদস্যরা বাসে করে যাওয়ার সময় এক আত্মঘাতী বোমারু বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে হামলা করে।
বিবিসি জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।
সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল আদল হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স।
জইশ আল আদলের দাবি, তারা ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের সংখ্যালঘু বালুচ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে।
রেভলিউশনারি গার্ডের সিস্তান-বেলুচিস্তান শাখা জানিয়েছে, তাদের স্থল বাহিনীর একটি ইউনিট বাসে পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরার পথে কাশ-জাহেদান সড়কে তাদের বাসের পাশে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটে।
বিবৃতিতে হামলার জন্য ‘তাকফিরি’ সন্ত্রাসী ও অধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ভাড়াটে সেনাদের দায় দেওয়া হয়েছে।
সুন্নি চরমপন্থীদের বর্ণনা করতে ‘তাকফিরি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ওই চরমপন্থীরা অন্য মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকে ‘অবিশ্বাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে।
ফার্সের পোস্ট করা এক ভিডিওতে যে সড়কে হামলাটি চালানো হয়েছে সেখানে রক্ত ও ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আক্রান্ত বাসটি ধাতুর দোমড়ানো মোচড়ানো একটি স্তূপে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের এলাকাগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি সশস্ত্র মাদক চোরাকারবারীদেরও তৎপরতা আছে।
ইরানের শিয়া মুসলিম কর্তৃপক্ষ বলেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানের নিরাপদ আস্তানা থেকে তৎপরতার চালায় এবং তাদের দমনের জন্য প্রতিবেশী দেশটিকে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়।
গত শরতে ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় আহভাজ শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের হামলায় রেভলিউশনারি গার্ডের ১২ সদস্যসহ ২৫ জন নিহত হয়েছিল।