একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার শেষ দিনে সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৯টির জন্য ৪৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। দলগুলোর প্রাপ্ত সাধারণ আসনের সংখ্যানুপাতে বণ্টিত নারী আসনে বিএনপির একটি আসন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের এমপিরা এখনও শপথ না নেওয়ায় একটি নারী আসনে মনোনয়ন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
একাধিক প্রার্থী না থাকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর এই ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের জন্য ৪ মার্চ দিন নির্ধারিত থাকলেও আসন সংখ্যার সমান প্রার্থী হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হচ্ছে না।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব আবুল কাশেমের কাছে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় প্রার্থীরা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা: ঢাকা থেকে সুবর্ণা মুস্তাফা, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ; খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা; কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম; গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা ও জামালপুর থেকে হোসনে আরা। নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান; টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক; সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম; মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা; নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম; নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী; গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান; ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা; ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম; বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা; পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা; খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার; টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী); ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম; কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম; মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন; রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা; চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী; শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার; রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন; মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম; পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি এবং নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির চার প্রার্থী: জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং অফিসার আবুল কাশেমের কাছে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছেন। এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত চার প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির ও স্বতন্ত্র ২ প্রার্থী: ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেলিনা ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।