সুবীর নন্দী। বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এই সম্মাননা অর্জনের অনুভূতি ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
কেমন আছেন?
গত বুধবার রাতে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ভালো থাকি কী করে। এত এত মৃতদেহ আর কান্নার মাতম যে কোনো মানুষকেই আবেগপ্রবণ করে তোলে। আমাকেও করেছে। সারারাত ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। প্রায় ১০ বছর আগে পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগে চলে গিয়েছিল একশ’রও বেশি তাজা প্রাণ। এবারও ঠিক তেমন ঘটনা। এমন ঘটনা আর দেখতে চাই না।
গত বুধবার রাতে একুশে পদক হাতে পেলেন। রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতিতে কেমন লাগছে…
আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। সঙ্গীত জীবনের শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত ভালো গানের স্বপ্ন দেখতাম। এমন রাষ্ট্রীয় সম্মানে সে স্বপ্ন আরও প্রস্ম্ফুটিত হলো। এর আগে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার একুশে পদক পেলাম। আনন্দটা আরও উপভোগ করতে পারতাম; কিন্তু একুশে পদক পাওয়ার অনুভূতিগুলো ফিকে হয়ে গেল চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়। তারপরও জীবিত অবস্থায় রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়া সত্যিই বড় ব্যাপার। আমার কাছে এ পুরস্কারের ব্যাপ্তি আকাশের চেয়েও বড়। এ অর্জনের জন্য পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এ স্বীকৃতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
এ অর্জন আগামীতে কাজের প্রতি কি আরও দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দেবে?
শিল্প সাধনার প্রথম দিন থেকে দায়বদ্ধতা নিয়ে গান করে চলেছি। তবে হ্যাঁ, এ পদক অবশ্যই আমাকে নতুনভাবে প্রাণিত করেছে। আমার ভাবনার বৃত্তে এ পদক যেন জোয়ার তুলে দিয়েছে। আগামীতে নতুন উদ্যমে ভক্তদের আরও নান্দনিক গান উপহার দিতে চাই।
দীর্ঘ শিল্পী-জীবনে অপ্রাপ্তি আছে কি?
পৃথিবীতে কোনো মানুষ পূর্ণ নয়। আমারও অতৃপ্তি আছে। একটি ভালো গানের অপেক্ষায় আছি। গানটি কবে গাইতে পারব- তা জানি না। তাই সঙ্গীত সাধনায় মগ্ন থেকে সেই ভালো গানটি গাইবার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলছি।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
দুটি অ্যালবামের কাজ শেষ করলাম। এতে বেশ কয়েকটি গান গেয়েছি। খুব শিগগির ইউটিউবে গানগুলো প্রকাশ করা হবে।