একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করবে। জীবনে কখনো মিথ্যা বা অন্যায়ের সাথে আপস করবে না।’
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনির্ভাসিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। খবর বাসসের
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সামাজিক প্রভাব সত্ত্বেও তাদের (শিক্ষার্থীদের) প্রতি ব্যক্তি হিসাবে আদর্শ সমুন্নত রাখার আহবান জানান। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা সমাজকে আলোকিত করে কিন্তু নৈতিকতা বিহীন শিক্ষা দেশ অথবা জাতির জন্য কোন ভালো কিছু বয়ে আনে না।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা কেন্দ্রই নয়, বরং তা জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন ও গবেষণার সর্বোচ্চ জায়গা।
রাষ্ট্রপতি মুক্তচিন্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা, জাতিগঠনমূলক কাজ, সমকালীন চিন্তা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলাধুলাসহ পাঠ্যসূচি বহির্ভুত বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
আবদুল হামিদ দেশের গৌরবময় অতীতের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এসব অপচেষ্টা বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের গৌরবময় অতীত, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ রাখতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি স্নাতকদের প্রতি আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতির কথা বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন কল্পবিজ্ঞানের লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জরিুল হক বক্তব্য রাখেন।