পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনতে আশাবাদী সরকার। এরই মধ্যে দেশটির আদালতে বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ব্লু-বক্স প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কানাডায় পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। একই সঙ্গে খুনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ একটি আনুষ্ঠানিক আবেদনও করে। সম্প্রতি এই আবেদনের ওপর কানাডার ফেডারেল কোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। এ কারণে সরকার আশাবাদী– তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার সাজা কার্যকর করা সম্ভব হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে খুনি নূর চৌধুরী কানাডা থেকে তার বহিষ্কার এড়াতে ‘প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট’ আবেদন করে। তাতে সে উল্লেখ করে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। কানাডার অ্যাটর্নি দপ্তরের সিদ্ধান্তহীনতায় প্রায় ১০ বছর আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি। পরে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের জুন মাসে কানাডার ফেডারেল আদালতে ‘রিট অব ম্যানডামাস’ দাখিল করা হয়। নূর চৌধুরীর আবেদনের বিষয়ে অ্যাটর্নি দপ্তরকে সিদ্ধান্ত জানানোর অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা চেয়েই বাংলাদেশের পক্ষে এ আবেদন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা অত্যন্ত ঘিঞ্জি পরিবেশে বাস করছে। বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে। এ কারণেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য সুন্দর ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে এবং তারা আরও ভালো পরিবেশে থাকতে পারবে। তবে রোহিঙ্গাদের অসুবিধা হলে তাদের সেখানে স্থানান্তরের বিষয়টি পুনর্বিবেচনারও সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদেশে ৭৮টি বাংলাদেশ দূতাবাসে ব্লু-বক্স বিতরণ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে দেশি টিভি চ্যানেল দেখা যায় না। এই ব্লু-বক্সের মাধ্যমে এখন থেকে দেখা যাবে।