বাংলাদেশের সব এটিএম বুথ ও কার্ডে নতুন লোগো বসছে।
চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করে দেয়া লোগো বসাতে হবে।
সোমবার ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ (এনপিএসবি) লোগো বিষয়ক একটি নীতিমালা জারি করে তা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এনপিএসবির আওতায় বাংলাদেশের ব্যাকগুলোর তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর আন্ত:ব্যাংক রমবা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় এনপিএসবিকে পৃথকভাবে চিহ্নিত ও পরিচিত করার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘এনপিএসবি লোগো’ প্রণয়ন করেছে।
এই লোগোটি এনপিএসবির অধীনব্যাংকগুলোর ইলেকট্রনিক রিটেইল পেমেন্ট সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ব্যবহত পেমেন্ট চ্যানেল এটিএম বুথ, পস মেশিন, ই-কমার্স সাইট ও পেমেন্ট গেটওয়েতে এবং পেমেন্ট ইন্সট্রুমেন্ট তথ্য কার্ড সমূহে (যেমন-ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড কার্ড) ব্যবহার করা যাবে।
‘এনপিএসবি লোগো’ বিষয়ক নীমিালায় বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এটিএম বুথ ও পস মেশিন এবং ডিজিটাল ডিসপ্লেতে এই লোগো ব্যবহার করতে হবে। এই বছরের আগস্ট থেকে নতুন ইস্যু করা ব্যাংকের নিজস্ব ব্র্যান্ডের কার্ডে এই লোগো ব্যবহার করতে হবে। পুরাতন কার্ডে পর্যায়ক্রমে এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কার্ডে চুক্তি নবায়নের সময় এনপিএসবি লোগো ব্যবহারের শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। কার্ডের সামনের অংশে ডানদিকে এই লোগো ব্যবহার করতে হবে।
লোগোর রঙ, নকশা ও ডিজাইন সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃব্যাংক কার্ডভিত্তিক লেনদেনকে নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী করার জন্য এনপিএসবি চালু করা হয়। আগে এক ব্যাংকের কার্ড অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথে ব্যবহার করলে ৪০ থেকে ৬০ টাকা চার্জ আদায় করা হতো। সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হতো বিদেশি ভিসা, মাস্টারকার্ড, জেসিবি ইত্যাদি।
এখন এনপিএসবি সুইচের মাধ্যমে এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুললে খরচ হয় ১৫ টাকা।