ম্যাচ যখন শেষ হায়দরাবাদের ডাগআউটে সাকিবকে দেখাল টিভি ক্যামেরা। দিল্লির বিপক্ষে ৫ উইকেটে জেতার পর হাসিমুখে হাত মেলাচ্ছেন সতীর্থদের সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা এভাবে বসে আছেন সাইডবেঞ্চে! তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের কাছে বিষয়টা মেনে নেওয়া একটু কঠিনই। কিন্তু হায়দরাবাদ টিম ম্যানেজমেন্টের কী করার আছে! যে সমন্বয় নিয়ে মাঠে নামছে তারা, ভালো ফল পাচ্ছে। প্রথমটি হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতছে। একাদশে জায়গা পেতে তাই অপেক্ষা বাড়ছে সাকিবের।
দিল্লির দর্শকদের ধৈর্যের প্রশংসা করতে হয়! দল হারছে, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পরও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। দলকে সমর্থন যুগিয়ে গেলেন। দিল্লি দর্শকদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারল কোথায়? হায়দরাবাদের কাছে হারল ৫ উইকেটে।
দিল্লি-হায়দরাবাদ ম্যাচটা একেবারে জমেনি। হায়দরাবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিল্লি টেনেটুনে করতে পেরেছে ৮ উইকেটে ১২৯ রান। দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারের ৪৩ রান যা একটু বলার মতো। দিল্লির তারকাখচিত টপঅর্ডার তাদের নামের সুবিচার করতে পারছেন না। শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বি শ, ঋষভ পন্তের দলের তারকা ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিক নিষ্প্রভ থাকলে দলকে তো মূল্য দিতেই হবে।
১৩০ রানের সহজ লক্ষ্যটা অবশ্য একটু কঠিন করে পেরিয়েছে হায়দরাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নার-জনি বিয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি ৪১ বলে ৬৪ রান তুলে দিয়ে আসার পরও হায়দরাবাদকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছাতে খোয়াতে হলো ৫ উইকেট, খেলতে হলো ১৮.৩ ওভার।