নির্ধারিত সময়ের আগেই সামিট এলএনজির ‘ভাসমান টার্মিনাল ও পুনঃ গ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিট’- এফএসআরইউ বঙ্গোপসাগরের অনুমোদিত স্থানে পৌঁছেছে।
শনিবার সামিটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এফএসআরইউটি এখন কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে নোঙ্গর করে আছে।
এই এফএসআরইউ থেকে এলএনজি রূপান্তরিত হয়ে সমুদ্র তলদেশের পাইপলাইন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সামিট এলএনজি দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তরল করে সরবরাহ করতে সক্ষম।
নতুন আসা সামিটের এলএনজি রূপান্তরিত করে স্থলভাগে নিয়ে আসার পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়েছেন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কর্তৃপক্ষ বা আরপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই এই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এখন স্থলভাগে জিটিসিএলের লাইন যতটুকু ধারণ করতে পারবে ততটুকু গ্যাসই জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে।”
এদিকে জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলি মোহাম্মদ আল মামুন জানিয়েছেন, যে সরবরাহ লাইন হয়ে সামিটের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা তা প্রস্তুত হতে আর একমাস সময় প্রয়োজন।
“আবহাওয়া ভালো থাকলে মে মাসের মধ্যেই নতুন লাইন প্রস্তত হয়ে যাবে। আপতত পুরনো লাইন হয়ে একশ থেকে দেড়শ ঘনফুট গ্যাস কাজে লাগানো যাবে।”
জিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, সামিটের এলএনজি আসলেও শুরুতেই তার পুরোটা এক ধাপে কাজে লাগানো যাবে না বলে আগেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখা হয়েছে। জুলাই থেকে অগাস্টের মধ্যে সামিটের ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, সামিট বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যথাযথ সক্ষমতা অর্জনে সরকারের সাহসী নেতৃত্বের অধীনে কাজ করছে। সামিট উন্নত দেশে উত্তরনের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সবচেয়ে সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং টেকসই জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে এটি সামিট মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালে জাপানের মিতসুবিশি সামিট এলএনজি কোম্পানিতে ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের প্রতিনিধি হয়। ২০১৭ সালে এফএসআরইউ নির্মাণে পেট্রোবাংলার অনুমোদন পায় সামিট এলএনজি।
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ ২৭০০ এমএমসিএফডি। এর সঙ্গে এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি থেকে এসে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। আর সামিটের ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে বর্তমান চাহিদার আলোকে গ্যাসের কোনো সঙ্কট থাকবে না।