বিশ্বকাপ দিয়েই অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথ-ওয়ার্নার

aus-team

ফেরা নিয়ে সংশয় খুব একটা ছিল না। তবে ছিল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের সেই অপেক্ষা ফুরাল। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটেরও। বিশ্বকাপ দিয়েই অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরছেন সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা কাটানো দুই ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপ দলে এই দুজনের থাকা অনুমিতই ছিল। তবে দলে না থাকাদের তালিকায় আছে চমক। স্মিথ-ওয়ার্নারের জন্য যা ‘পৌষ মাস’, পিটার হ্যান্ডসকমের জন্য সেটি ‘সর্বনাশ।’ ব্যাটসম্যানদের তীব্র লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জায়গা পাননি সম্প্রতি ভারতে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করা হ্যান্ডসকম। সুযোগ পাননি পেসার জশ হেইজেলউডও।

চোটের কারণে গত নভেম্বরের পর এখনও ওয়ানডে খেলা হয়নি হ্যাজলউডের। তবে চোট কাটিয়ে ফেরার পথেই আছেন দীর্ঘদেহী এই পেসার। এই বছর ওয়ানডে খেলতে না পারলেও ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এখনও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সেরা বোলার তিনি (প্যাট কামিন্স ছয়ে, হেইজেলউড দ্বাদশ)।

কিন্তু চোটের কারণে গত জানুয়ারির পর কোনো ধরনের ক্রিকেটে খেলা হয়নি বলেই একেবারে বিশ্বকাপ দিয়ে ফেরানো হলো না হেইজেলউডকে। প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে আপাতত অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে খেলানো হবে এই পেসারকে।

হ্যান্ডসকমের বাদ পড়া আরও বড় বিস্ময়। এই বছর ১৩ ওয়ানডেতে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে এই ব্যাটসম্যানের গড় ৪৩.৫৪, স্ট্রাইক রেট ৯৮.১৫। গত মাসে ভারত সফরে ৩৫৯ রান তাড়া করে জয়ের ম্যাচে খেলেছিলেন ১০৫ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার টানা আট ওয়ানডে জয়ে একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটসম্যানের একজন তিনি। বিশ্বকাপ দলে নেই তবুও।

হ্যান্ডসকমের জায়গা অনেকটা নিশ্চিত ধরা হয়েছিল আরেকটি কারণেও। দলে সম্ভাব্য দ্বিতীয় কিপার ছিলেন তিনিই। কিন্তু তাকে না রাখায় স্কোয়াডে একমাত্র কিপার এখন অ্যালেক্স কেয়ারি।

দলে ব্যাটসম্যানদের আধিক্যের কারণে কাউকে বাইরে থাকতেই হতো, দুর্ভাগা হ্যান্ডসকমের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। মোহালিতে ৩৫৯ রান তাড়া করে পাওয়া সেই জয়ে ৪৩ বলে ৮৪ রান করা অ্যাশটন টার্নারও তেমনি জায়গা পাননি স্কোয়াডে।

চোটের কারণে গত প্রায় আড়াই মাস কোনো ধরনের ক্রিকেটে না খেলা মিচেল স্টার্ক আছেন দলে। জায়গা পেয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরার লড়াইয়ে থাকা আরেক পেসার জাই রিচার্ডসন। তবে দুজনকেই বিশ্বকাপের আগে প্রমাণ করতে হবে ফিটনেস। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত স্কোয়াডের চোটাক্রান্ত ক্রিকেটারদের আইসিসির অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলি। এরপর পরিবর্তন করতে হলে আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদন লাগবে।

দলের বাইরে থাকাদের তালিকায় দারুণ সব ক্রিকেটারের নামই প্রমাণ করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শক্তির গভীরতা। সবশেষ সিরিজের দল থেকে জায়গা পাননি পেসার কেন রিচার্ডসনও।

অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুধু আগামী ১ জুন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আগামী ২ মে থেকে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরুর পর তারা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি আনঅফিসয়াল একদিনের ম্যাচ খেলবে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে।

বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার দল: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাওয়াজা, শন মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল,  মার্কাস স্টয়নিস, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জাই রিচার্ডসন, ন্যাথান কোল্টার-নাইল, জেসন বেহরেনডর্ফ, অ্যাডাম জ্যাম্পা, ন্যাথান লায়ন।

Pin It