ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকা পৌঁছানোর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার এবং অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন জাদুঘর চত্বরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। খবর বাসসের
বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন জাতির পিতার ইতিহাস সম্পর্কে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং জাদুঘর ঘুরে ঘুরে দেখান।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকসদল তাকে অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
এখানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
লোটে এখানে পৌঁছালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ সকালে এখানে পৌঁছালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
রয়্যাল ভুটান এয়ারলাইন্সের (ড্রুক এয়ার) একটি বিশেষ ফ্লাইটে স্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৮টা ৮ মিনিটে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।