সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে নদীকে বাঁচাতে হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

image-45293-1555079491

ইরান কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ইরানি নওরোয (নববর্ষ) ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ইট পাথর দিয়ে ঘেরা হয়ে গেলে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে যাবে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। আমাদের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে।

উন্নত দেশের সঙ্গে উন্নত প্রকৃতির সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দেশ ও প্রকৃতি কিভাবে রক্ষা হবে তার জন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। নদী রক্ষার কথা তিনি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। আমরা মনে করি এ দেশের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে দেশের নদীকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেটাকে মেলে ধরার জন্য, রক্ষা করার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপনারা যারা ঢাকার মানুষ তারা দেখতে পেয়েছেন, আমরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। ঢাকার নদীগুলোকে দখল করা হয়েছিল, তার নাব্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল; নদী দূষণ হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাঁচ, তিন ও দুই বছর মেয়াদী। আমরা বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষা ও তুরাগের পুরাতন আবহ ফিরিয়ে আনব।

নদী তীর উচ্ছেদে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, জনসমর্থন ছাড়া কোন কাজ হয় না। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছিলাম, সেটা জনযুদ্ধ ছিল বলে। জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল বলেই আমরা দুর্গম গিরি পারি দিয়েছি। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতিকে রক্ষা করা; বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করা। সেখানে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। নতুন বর্ষে আপনাদের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নুসরাতের বিচার পেতে সহযোগিতা করবে মানবাধিকার কমিশন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ড. কাযেম কাহদুয়ী, বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক অভিনেতা মামুনুর রশীদ, ইরান কালচারাল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মেহেদী হাসান।

বক্তারা বলেন, নওরোয ইরানিদের সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর অন্যতম, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্ম, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে ইরানিদের একে অপরের কাছে টেনেছে। ইরানি জনগণের সংস্কৃতিতে নওরোয বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও নিদর্শনে পরিপূর্ণ এবং এটি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব হিসেবেও বিবেচিত।

Pin It