ঢাকার সেবা সংস্থাগুলোরও ভাগ চান মেয়র খোকন

mayor-sayeed-khakon-12032018-0009

সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকার সেবা সংস্থাগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করলে নাগরিক সেবার মান বাড়বে বলে মনে করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে খোকন বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে গত চার বছরে অনেক কাজ করতে পারেননি।

তিনি বলেন, “নাগরিক সেবা বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশন ভাগ হয়েছে, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেবামূলক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে গত চার বছর অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি।”

সেবা সংস্থাগুলোকে দুই ভাগ করলে সেবার মান বাড়বে মন্তব্য করে মেয়র খোকন বলেন, “রাজধানীর নাগরিক সেবা দেওয়ায় ৫৬টি সংস্থা জড়িত। এসব সংস্থার মধ্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলে নাগরিক সেবা দেওয়া সহজ হয়। কিন্তু এখানে ঘাটতি রয়েছে। এজন্য দুই সিটি করপোরেশনের মতো সেবা সংস্থাগুলোকেও দুই ভাগ করা দরকার।

“এজন্য অন্যান্য সেবামূলক সংস্থাগুলোকে যদি উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করা হয়, আমার ধারণা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং নাগরিকদের সেবা আগের তুলনায় বেশি করে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।”

সিটি করপোরেশনের লোকবল পর্যাপ্ত নয় জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, “এই সময়ে জনবল কাঠামো ঠিক করতে পারিনি। বর্তমানে আমরা ৪০ ভাগ জনবল নিয়ে কাজ করছি।”

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মেয়র সাঈদ খোকন।

সংবাদ সম্মেলনে রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত উন্নয়ন ও সংস্কার, এলইডি বাতি স্থাপন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিবাস নির্মাণ ও খেলার মাঠ-পার্ক উন্নয়নের কথাও বলেন মেয়র।

এছাড়া পুরান ঢাকা থেকে কেমিকেল কারখানা স্থানান্তর, যানজট নিরসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া এবং নবনিযুক্ত আটটি ইউনিয়নের জন্য নেওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “আমি এ শহরের প্রত্যেক নাগরিককে মেয়রের ভূমিকায় দেখতে চাই। নাগরিক সচেতনতাই পরিবর্তনের শক্তি।

“আমাদের অক্লান্ত ও আন্তরিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি নাগরিকরা সচেতন হলেই এ শহরকে একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে পারব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, কলানমিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

Pin It