অকারণ উৎকণ্ঠা কমাতে যা করণীয়

pic-5-5cd951adb8731

অনেকের মধ্যে অকারণ উৎকণ্ঠার সমস্যা রয়েছে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় অনেকের দৈনন্দিন কাজেও সমস্যা হয়। সাধারণত মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, শরীরের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি কারণে অনেকের উদ্বেগ বাড়ে। অকারণ উদ্বেগ কমাতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

১. প্রতিদিন সকাল ও বিকালে নিয়ম করে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ডিপ ব্রিদিংয়ের ব্যায়ামটি করুন। খোলা পরিবেশে বসে গভীর শ্বাস নিন ও কিছুক্ষণ ধরে রেখে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। মন ও মাথা হালকা লাগবে।

২. মন ও শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন আধঘন্টা সময় বের করে ব্যায়াম করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের মত সহজ ব্যায়াম করতে পারেন।

৩. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে উৎকণ্ঠা বাড়ে। এর ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। এ কারণে অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন।

৪. অনেক ঘটনায় নিজের ভুল থাকা সত্ত্বেও অনেকে মানতে পারেন না।তখন মানসিক চাপ বাড়ে। নিজের ভুল মেনে বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন। ইতিবাচক থাকুন ও ইতিবাচক চিন্তা করুন।

৫. কাজের শেষে অবসর সময়ে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও দেখা করুন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিলে অনেকসময় চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।

৬. আপনার শখের কোনও বিষয় থাকলে সেগুলো করার চেষ্টা করুন।যার সঙ্গে কথা বললে নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত লাগে তার সঙ্গে কথা বলুন, মন হালকা লাগবে।

৭. যেসব দুশ্চিন্তা আপনার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, দিন শেষে সেসব ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে আপনার মাথা থেকে খাতায় বন্দী হবে দুশ্চিন্তারা। আপনার মানসিক চাপও কমবে।

৮. ঘুমের অভাবে মানসিক চাপ বাড়ে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

৯. নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে মাঝেমধ্যে পরিবার বা সঙ্গীকে নিয়ে বেড়াতে যান। সাময়িক ভাবে আশপাশের পরিবেশ থেকে ছুটি পেলে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকবেন।

১০. অনেক সময় কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে কাজকে অতিরিক্ত চাপ বলে মনে হয়। তাই চেষ্টা করুন তেমন কাজ বেছে নিতে, যেটা আপনি মন থেকে ভালোবাসতে পারবেন। কাজকে একবার ভালোবাসতে পারলে তা কখনোই আপনার কাছে মানসিক চাপের কারণ হবে না।

Pin It