আফগানিস্তানে সরকার সমর্থক ২৬ মিলিশিয়াকে হত্যা তালেবানের

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ২৬ জন সরকার সমর্থক মিলিশিয়াকে হত্যা করেছে তালেবান জঙ্গিরা।

Afghan

শনিবার দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় বাঘলান প্রদেশের নাহরিন জেলার এক নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা এদের হত্যা করে বলে আফগান কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওই নিরাপত্তা চৌকিটিতে সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের মোতায়েন করা হয়েছিল।

বাঘলান পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলায় ২৬ জন মিলিশিয়া নিহত হয়েছেন।

তালেবানের কর্মকর্তারা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় তাদের যোদ্ধারা ২৮ জন মিলিশিয়াকে হত্যা ও ১২ জনকে জখম করেছে বলে দাবি করেছে তারা।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাবুল থেকে জানিয়েছেন, মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে এ হামলা চালিয়ে তালেবান পরিষ্কার ইঙ্গিত দিলো যে তারা শক্তিশালী অবস্থান থেকেই আলোচনায় অংশ নিতে চায়।

শনিবারই কাতারে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের সপ্তম পর্বের শান্তি আলোচনা শুরু করার কথা রয়েছে।

১৮ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধ অবসানই এ আলোচনার লক্ষ। এই আলোচনাকে ‘মেইক অর ব্রেইক মোমেন্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

আফগানিস্তানে মার্কিন শান্তি দূত হিসেবে নিয়োজিত জালমে খলিলজাদ এ আলোচনায় নেতৃত্ব দিবেন। এর আগে গত অক্টোবর থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সঙ্গে আরও ছয় পর্বের শান্তি আলোচনায় প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

শান্তির লক্ষে এই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চললেও তাতে তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীগুলোর লড়াই হ্রাস পায়নি।

আলোচনায় তালেবান পক্ষের মূল দাবি আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশী বাহিনীর প্রত্যাহার, অপরদিকে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড জঙ্গি হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে না, মার্কিনিরা এমন নিশ্চয়তা চায়।

শান্তি আলোচনায় অস্ত্র বিরতি এবং তালেবান ও আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার, এ দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার মতো আরও দুটি প্রধান ইস্যু থাকলেও কাবুল সরকারকে ‘পুতুল’ অভিহিত করে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছে তালেবান।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো মিশনের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ হাজার বিদেশি সেনা মোতায়েন আছে যাদের অধিকাংশই মার্কিন সেনা। মূলত এরা আফগানিস্তানের বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকলেও তাদের একটি অংশ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও পরিচালনা করছে।

Pin It