দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা সামর্থ্য প্রমাণ করে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৩০ রান তোলে। বোলাররা দারুণ বোলিং করে ২১ রানের জয় নিশ্চিত করে। মাশরাফিও বলছেন, জয়টা বড়। কিন্তু এই জয়ে এখনই উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ একটা জয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলবে না।
দলের সবাইকে মাশরাফি তাই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, ‘দলের সবারই শান্ত থাকা খুবই দরকার। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি। এখনও আট ম্যাচ বাকি। টুর্নামেন্টে এই একটা জয় কোন জায়গা নিশ্চিত করবে না। এই জয়ে তাই খুব উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। এখনও আমাদের সামনে অনেক পথ।’
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ জুন। কিউইদের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার স্মৃতি এখনও তাজা। টাইগারদের মনোযোগ এখন ওই ম্যাচে, ‘আমরা এখনই সেমির মতো বড় লক্ষ্যর দিকে তাকাচ্ছি না। এটা কেবল একটা ম্যাচ। এই ম্যাচে পূর্ণ মনোযোগ ছিল আমাদের। এখন ওটা অতীত। আমাদের এখন নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ম্যাচ জেতায় দল আত্মবিশ্বাসী থাকবে। তবে আমার চোখে আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। সামনের ম্যাচে হয়তো ব্যাটসম্যানদের আরও বড় পরীক্ষা দিতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভয় ডরহীন ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা। হারানোর কিছু নেই এমনই ভেবেছে তারা। শেষ বল পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা ছিল দলের। মাশরাফি বলেন, ‘অন্য দল আমাদের কিভাবে দেখছে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের চোখে সব দলই বড়। সেরাটা দিয়েই তাই আমাদের খেলতে হবে। খেলোয়াড়রা যেন ইনজুরিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব ম্যাচ হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার মতো হবে না; তবে দল সেরাটা দিলে প্রত্যেক ম্যাচেই ভালো খেলা সম্ভব।’
ইনজুরি থেকে ফেরা সাকিব আল হাসান ব্যাটে-বলে দারুণ খেলেছেন। ভালো ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কম ঝুঁকি নিয়ে রান তুলেছেন তারা। দলের অন্যদের এ থেকে শেখার আছে বলে মনে করেন মাশরাফি। এছাড়া দলের অন্যতম ভরসা মুস্তাফিজুর দারুণ বোলিং করেছেন। ভাগ্য ভালো ছিল বলেই সবকিছু পক্ষে গেছে।
ভাগ্যে বিশ্বাসী উল্লেখ করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমার জায়গায় অন্য কোন অধিনায়ক থাকলে হয়তো ভিন্ন কথা বলবেন। তবে আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। পরিকল্পনা সব দলই করে। সব সময় তা কাজে লাগে না। ভাগ্য সহায় ছিল বলেই কাজে দিয়েছে। বিশ্বকাপে সেরা ফল পেতে হলে আপনাকে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতেই হবে। ডু প্লেসিসের উইকেটটা দেখুন। ওই বলে সবসময় উইকেট পাওয়া যায় না। ভাগ্য ভালো হলে পাওয়া যায়।’