বিএনপির কাউন্সিলের তিন বছর তিন মাস পর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেলেন সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। বর্তমান কমিটিতে সেলিমা ও টুকু দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, “কাউন্সিলের পর আমাদের কমিটিগুলো পুনর্গঠিত হয়েছে, কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে কয়েকটি শূণ্য পদ রয়েছে। আমাদের কয়েকজন বরেণ্য নেতা মারা গেছেন। ওই শূন্যপদগুলোর মধ্যে দুটিতে আজকে আমি দুইজনের নাম ঘোষণা করছি।”
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে পদ রয়েছে মোট ১৯টি। গত কাউন্সিলের পর স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে ১৭ জনের নাম ঘোষণা হয়।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমান ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, আসম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ছিল সেখানে।
এর মধ্যে তরিকুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ ও এম কে আনোয়ার মারা গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জনে। শূন্য পদে নতুন দুইজনকে মনোনয়ন দেওয়ার পরও তিনটি পদ খালি থাকল।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ স্থায়ী কমিটিতে যেতে পারেন বলে প্রত্যাশা ছিল তাদের সমর্থকদের মধ্যে। রিজভীর ঘোষণায় তাদের নাম না আসায় কর্মীদের কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আলবার্ট পি কস্টা, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহিন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।