আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ: অভিন্ন সত্ত্বা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হতে পেরেছে। দু’টি লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা– দেশের স্বাধীনতা ও দারিদ্র্যমুক্তি।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা এনে দিতে পারলেও দারিদ্র্যমুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। তার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে এখন দেশের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজটি এখন তিনিই করে যাচ্ছেন। তার চেষ্টায় বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদাশালী দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন। আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ।’
স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৭ কোটি টাকা– একথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ বছর বাজেট ঘোষণা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছিল দেশের রফতানি আয়, এখন তা ৪১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ছিল ৭০ ডলার, এখন তা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৯তম ও ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩তম অর্থনীতির দেশ হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন পুনর্গঠন করছিলেন, ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় গিয়ে সেটাই করেছিলেন। এটা দেশ ও জাতির জন্য কলঙ্ক।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে জানিয়ে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্বাস করি, এদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেই।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, ড. মিল্টন বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।