হাঙ্গেরিতে ৩০তম আর্ন্তজাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ। বিজয়ী বাংলাদেশ দলের তিন সদস্য হলেন অদ্বিতীয় নাগ, রাফসান রহমান রায়ান ও মাধব বৈদ্যন শঙ্করণ।
প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে যুক্ত হয়েছে । প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের আয়োজক বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড (বিডিবিও)।
এবারের অলিম্পিয়াডে বিশ্বের ৮৬টি দেশ অংশ নেয়। এরমধ্যে চারটি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছে। ৮২টি দেশের ৩২৮ জন প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে প্রতিদন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন।
৩০তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড (আইবিও) রাঙাতে ছয় সদস্যের ‘টিম বাংলাদেশ’ ১৪ জুলাই হাঙ্গেরির জেগেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে।
বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সভাপতি দলনেতা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এবং উপনেতা ও কোচ সামিউল আলম রাজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের হয়ে এবারের আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় বিডিবিও-বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসব থেকে নির্বাচিত আহনাফ তাহমিদুর রহমান, অদ্বিতীয় নাগ, মাধব বৈদ্যান শঙ্করণ ও রাফসান রহমান রায়ান। তারা দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত চলে নিবিড় প্রশিক্ষণ।
‘হাঙ্গেরিতে গর্জে ওঠো আরেকবার’ স্লোগানে এ বছর মার্চে অনুষ্ঠিত বিডিবিও- বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক ও জাতীয় উৎসবে অংশ নেয় প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অঞ্চল অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অঞ্চল পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে হয় জাতীয় উৎসব। ঢাকায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় উৎসবে লিখিত পরীক্ষায় তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ী নিয়ে ঢাকায় বায়োক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে ক্যাম্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের প্রধান ও অলিম্পিয়াডের প্রধান কোচ অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রতিযোগীদের ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে জুরিবোর্ড যাচাই-বাছাই করে সেরা চারজন নির্বাচিত করেন আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের জন্য।