কক্সবাজারকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ হুমায়ুন এমপি বলেছেন, কক্সবাজারে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশি-বিদেশি উদ্দ্যোক্তার বিনিয়োগে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সমস্যা বুঝেন। তিনি কক্সবাজারের উন্নয়নকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। তাঁর সে মূল্যায়নের খবর সাধারণ জনতার কাছে পৌছানোর দায়িত্ব আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সবার।
কক্সবাজার জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারার লবনে সারা দেশের চাহিদা মেটে। তাই কক্সবাজারে একটি লবণ রিফাইনারী প্রকল্প স্থাপন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে জেলায় উৎপাদিত লবণের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে।
মন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে প্রতিহিংসা নয়। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সংগ্রামে অনেকেই নেতৃত্বে দিয়েছেন, কিন্তু কেউ জাতির জনক হতে পারেনি। জাতির জনক হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বিধায় আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজ জাতির জনকের কন্যার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না, বিগত খালেদা-নিজামীর জোট সরকারের আমলে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর দমন নিপীড়ন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে সৈকতের একটি তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, মহিলা সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জজ আদালতের পিপি মমতাজ আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের আজাদের সঞ্চালনায় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শফিক মিয়া, এড. বদিউল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল হক মুকুল, এড. রণজিত দাশ, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ কুতুবী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কাইছারুল হক জুয়েল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুণা, ঝিলংজার চেয়ারম্যান টিপু সোলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে শিল্পমন্ত্রী বিএসটিআইয়ের কক্সবাজার কার্যালয় ভবন উদ্বোধন করেন। দুপুটে বিমানের একটি ফ্লাইটে মন্ত্রী কক্সবাজার পৌঁছালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইনসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা রিসিভ করেন। পরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও এসপি এবিএম মাসুদ হোসেনসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।