ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল বুধবার। জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আবার টানা তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বুধবার দীর্ঘ বিরতির পর খুললেও রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংক শাখায় তেমন ভিড় করেননি গ্রাহক। ঢাকায় পশুর হাট-সংশ্নিষ্ট সব শাখা ঈদের আগের রাত পর্যন্ত খোলা থাকায় টাকা জমার চাপ ছিল না বলে সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিন কুশল বিনিময় করেই অনেকটা সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বুধবার ব্যাংক খুললেও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে বুধবার তেমন কোনো দাপ্তরিক কাজের জন্য আসেননি ব্যাংকাররা। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানসহ কয়েকজন এমডি কুশল বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আসেন। যদিও গভর্নর ফজলে কবির দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরেন তারা।
নানা কারণে বন্ধের মধ্যেও এখন ব্যাংকের অনেক শাখা খোলা রাখতে হচ্ছে। এবার ঈদের আগের রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর পশুর হাট-সংশ্নিষ্ট সব শাখা খোলা রাখতে হয়েছে। এসব শাখায় সব ধরনের লেনদেনের সুযোগ পেয়েছেন গ্রাহকরা। আবার রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে দেশের সব সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দরে অবস্থিত ব্যাংক শাখা সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে গত ৬ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব কারণে ঈদ উৎসবের পর প্রথম খোলার দিন টাকা জমার যে বাড়তি চাপ থাকে এবার তা ছিল না। এছাড়া যে কেউ ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট বুথে টাকা জমা দেওয়ার মেশিনেও টাকা জমা দিয়েছেন।