এখন তো শুভেচ্ছা, শুভকামনা পাওয়ার সময় রাসেল ডমিঙ্গোর। দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে শুভেচ্ছা বার্তা ক্ষনিকের। কিছুদিন গেলেই তার কোচিং দর্শনে তিক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবে বিসিবি ও ক্রিকেট মহল। জাতীয় দলের নতুন কোচ ডমিঙ্গোও হয়তো তা জানেন। এটাও জানেন যে, টাইগারদের কোচ হতে বিসিবি কর্মকর্তাদের আকৃষ্ট করতে যে প্রেজেন্টেশন দিয়ে গেছেন, কাজের ক্ষেত্রে সেটির প্রতিফলন থাকতে হবে।
গত ৭ আগস্ট ঢাকায় বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে প্রেজেন্টেশন দেন ডমিঙ্গো। যেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেন তিনি। বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরলেন, ‘আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়ায়। এই বিশ্বকাপের কন্ডিশন মাথায় রেখে পেস বোলিং বিভাগকে ঢেলে সাজাতে চান তিনি। ডমিঙ্গো আমাদের বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় ফাস্ট বোলিং উইকেট থাকবে। ওই কন্ডিশনে ভালো করতে হলে কার্যকর পেস বোলার লাগবে। আমি দেখেছি, বিদেশের মাটিতে তোমাদের পেস বোলাররা একেবারেই অকার্যকর। আমার লক্ষ্য থাকবে পেস বোলারদের সব কন্ডিশনের জন্য তৈরি করা।’
এর আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, স্টিভ রোডসরা ঘরোয়া লিগের খেলা তেমন দেখেননি। জাতীয় দলের খেলা না থাকলে ছুটিতে গেছেন। ডমিঙ্গো তেমনটা করতে চান না। সাক্ষাৎকারে তিনি জানতে চেয়েছেন, মাঠে গিয়ে লিগ দেখার সুযোগ থাকবে কি-না। বিসিবিও তাকে আশ্বস্ত করেছে। ঘরোয়া লিগ দেখার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
ডমিঙ্গোর পরিকল্পনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- দুই বছর বাদে কোচ থাকেন বা না থাকেন ২০২৩ বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত করবেন তিনি। তার মতে, ‘দু-তিন বছরের মধ্যেই বর্তমান দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় থাকবে না। পাইপলাইন থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে আগামী ছয়-সাত বছরের জন্য জাতীয় দলের জন্য তৈরি করতে চাই। আর আমি থাকি বা না-ই থাকি, ২০২৩ সালের জন্য দল গড়ে দিয়ে যাব।’
ডমিঙ্গোর পরিকল্পনা চার বছরের জন্য। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে খোঁজখবর নিয়েই পরিকল্পনা করেছেন বোঝা যায়। ওই পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে চান। এজন্য বিসিবি তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে। এই সময়ের ভেতরে উন্নতি দেখাতে পারলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ডমিঙ্গো ঢাকা আসছেন সোমবার রাতে। পরদিনই যোগ দেবেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে।