স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনসচেতনতার জন্য ডেঙ্গু মোকাবেলা করা সহজ হয়েছে। তারপরও এখনও শতভাগ সফল হওয়া যায়নি। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে তার মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার ঢাকা ইউটিলিটি রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘নাগরিক সেবা নিশ্চিতে স্থানীয় সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, কাজের অগ্রগতির জন্য সবগুলো সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন বিষয়ে সমন্বয়ের প্রয়োজনীতা দেখা দিচ্ছে। সক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেকে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করছে। আমি মনে করি না, কোথাও সমন্বয়হীনতা আছে। যেখানে সমস্যা আছে সেগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এমপিদের ভূমিকা নেই- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনে নির্বাহী দায়িত্বটা হয়তো সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের ওপর বার্তায়। আর সংসদ সদস্যরা সমন্বয় করেছে বলে আমি জানি। এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ঢাকা শহরে সুয়ারেজ সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগে রাজধানীতে যেমন জলাবদ্ধতা হতো, শান্তিনগর এলাকায় পানি জমে থাকতো এখন নেই। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতা অনেকটা কমে এসেছে। তবে একেবারেই জলবদ্ধতা মুক্ত হয়নি।তবে পৃথিবীর এমন কোনও দেশ নেই যারা বলতে পারবে তাদের নাগরিক সমস্যার শতভাগ সমাধান করতে পেরেছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে দুর্নীতি বিষয়ে জিরো ট্রলারেন্স নীতির কথা বলা হয়েছে। তার মন্ত্রণালয় দুর্নীতিকে শতভাগ নির্মূল করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডুরার সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মাদ খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী খান উপস্থিত ছিলেন।