নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দেশের বাইরে তার নামে কোনো সম্পদ থাকলে সেটা বৈধ আয় থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী এমপি।
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ ও সহকারী পরিচালক জাহিদ কালাম।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাহী বি. চৌধুরী দুদক কর্মকর্তাদের বলেন, তার নামে-বেনামে কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। যেসব সম্পদ আছে সেগুলো বৈধ। এমনকি বিদেশে কোনো সম্পদ থাকলে সেটিও বৈধভাবে করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিগগির তার নামে থাকা সব ধরনের সম্পদের তালিকা দুদকে জমা দেবেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাহী বি. চৌধুরী সাংবাদিকদের আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আসা একটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করছে দুদক। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই তাকে ডাকা হয়েছে। আগামী ২৭ অথবা ২৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পুরো বিষয়টি খোলাসা করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি শতভাগ ভিত্তিহীন। এর পেছনে নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহী বি. চৌধুরী বলেন, দুদক তাকে অভিযুক্ত করেনি। তারা অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। দুদককে সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি।
জানা গেছে, গতকাল মাহী বি. চৌধুরীর স্ত্রী আশফাহ্ হক লোপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তিনি অসুস্থ থাকায় দুদকে হাজির হননি।