আগের আট আসরের পাঁচবারই উয়েফার ইউরোপসেরা ফুটবলার হয়েছেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসি জিতেছেন দুইবার। রোনালদো তিনবার উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন। বাকি তিনবার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ফ্রাঙ্ক রিবেরি এবং লুকা মডরিচ হয়েছেন ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার। এবার সেরার পুরস্কার উঠেছে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হাতে। প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে উয়েফার ইউরোপসেরার পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়লেন ডাচ ডিফেন্ডার।
উয়েফার ইউরোপসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন ইংল্যান্ড ও লিঁওর লাকি ব্রনজি। তিনি আডা হেগেলবার্গ ও আমানদিন হেনরিকে হারিয়েছেন।
গেল বছর মেসি-রোনালদোর দৌরাত্ম থামিয়ে ইউরোপসেরা ফুটবলার হন লুকা মডরিচ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় এবং রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তোলেন মডরিচ। পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে উয়েফার ইউরোপসেরা ফুটবলার হন। এবার বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসি এবং জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আবার খালি হাতে ফেরালেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন নেদারল্যান্ডস ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইক। দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল দুইয়ে শেষ করেছে। লিগে লিভারপুল অন্য দলের চেয়ে সবচেয়ে কম ২২ গোল খেয়েছে। তার পেছনে ভ্যান ডাইকের বড় অবদান আছে।
ভ্যান ডাইক গেল মৌসুমে লিভারপুল এবং জাতীয় দলের হয়ে নয় গোল করেছেন। ক্লাবের হয়ে গেল মৌসুমে ৫০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে ৪৯ ম্যাচে কোনো ফুটবলার তাকে কাটিয়ে (ড্রিবলিং) বল নিয়ে যেতে পারেননি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের থেকে তিনি ৭৩ ভাগ বল কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এরিয়াল বলেও (ওপরের বল) তিনি ৭৩ ভাগ সাফল্য পেয়েছেন।
মেসি ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার হয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫৪টি। বার্সেলোনাকে লা লিগা জিতিয়েছেন। ওদিকে রোনালদো জাতীয় দল এবং জুভেন্টাসের হয়ে খেলেছেন ৪৭ ম্যাচ। গোল করেছেন ৩১টি। জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম সিরি আ’ জিতেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ রোনালদো।
উয়েফা ২০১১ সাল থেকে ইউরোপসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিচ্ছে। প্রথম বছর পুরস্কার জেতেন লিওনেল মেসি। পরের দুই বছর যথাক্রমে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরির হাতে ওঠে পুরস্কার। এরপর ২০১৪ সালে রোনালদো প্রথমবার ইউরোপসেরা ফুটবলার হন। ২০১৫ সালে মেসি আবার তার রাজত্ব ফিরে পান। ২০১৬ এবং ২০১৭ মৌসুমে ইউরোপসেরা ফুটবলার হন সিআরসেভেন। আর সর্বশেষ ইউরোপের সেরা ফুটবলার হন মডরিচ।