বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি। তারা একদিকে জুয়ায় মেতে থাকে, অন্যদিকে জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়। লুটতারাজ আর চাঁদাবাজি করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা সব ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নিয়েছে।
রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমানের পক্ষে প্রচারণার হিসেবে সোমবার বিকেলে নগরীর পায়রা চত্বরে এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। পথসভা শেষে পিকআপ ভ্যানে করে জনসংযোগে যাওয়ার সময় আহত হন মির্জা ফখরুল। সন্ধ্যায় নগরীর শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে চালক গাড়িতে জোরে ব্রেক কষলে বাম হাতের আঙুলে আঘাত পান তিনি। এতে তার একটু আঙুলের হাড়ে চিড় ধরে। পরে তাকে নগরীর প্রাইম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পথসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য। গণতন্ত্রকে মুক্ত করা, ভোট দেওয়ার অধিকার, কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচন আমাদের সংগ্রামের একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এ আসনটি শূণ্য হয়েছে। এরশাদ এ আসনে ছিলেন, কিন্তু কোনো উন্নয়ন করেননি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা প্রয়াত মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমানকে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে। স্থানীয় ও শিক্ষিত প্রার্থী হিসেবে সদরবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা গণতন্ত্রের সঙ্গে থাকবেন, নাকি জুয়ারুদের পক্ষে যাবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে রিটা রহমানের হাতে ধানের শীষ তুলে দিলাম, ৫ অক্টোবরের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আপনারা এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা করছি। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় সদস্য শামা ওবায়েদ, রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সামসুজ্জামান শামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জীম প্রমুখ।