যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার বেলা ৩টার পর রাজধানীর নিকেতনের ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবন থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সমবায় বিষয়ক সম্পাদককে সাত দেহরক্ষীসহ আটক করা হয় এবং ২০০ কোটি টাকার এফডিআরের নথিসহ নগদ টাকা ও অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের মুখপাত্র সারওয়ার-বিন-কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শামীমকে দেহরক্ষীসহ আটক করা হয়েছে এবং তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ ও প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পরই বুধবার রাতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদকে। ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে তার পরিচালিত অবৈধ ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর আলোচনায় আসে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শামীমের নাম। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত শামীম।
বৃহস্পতিবার যুবলীগের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরুর কথা জানান প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ নেতারা গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগকে সততা ও আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে চলতে হবে। ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোনো নালিশ (অভিযোগ) শুনতে চাই না। ছাত্রলীগের পর যুবলীগ ধরেছি। এ অবস্থায় নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। নীতি-আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে চলতে হবে।