সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল না কিনে সুবিধাভোগীদের (ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগী) কাছ থেকে কেনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এ রুল জারি করেন।
পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল কিনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিরোজ আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
রিট আবেদনে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু কিছু গুদাম মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে এই নীতিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার ঘোষিত মূল্যে কৃষক ধান বা চাল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে না। সরকারের সংশ্লিষ্টরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান বা চাল কিনছে না। একশ্রেণির লোককে বেআইনি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ও চাল কেনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি গত ২৮ জুলাই উকিল (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ। ওই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন তিনি।