ওজন কমার সঙ্গে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দিলে দূর করার রয়েছে উপায়।
ওজন কমাতে পারার সন্তুষ্টি অনেকাংশে কমিয়ে দেয় ‘স্ট্রেচ মার্ক’ বা ফাটা দাগ। অতিরিক্ত ওজন বাড়লেও এই দাগ দেখা দিতে পারে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে গিয়েও এই দাগের আশঙ্কা আছে।
ত্বকে টান পড়লে এবং তার স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে।
কিছু মানুষের ত্বকে এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ত্বকের দৃশ্যমান অংশে এই দাগ দেখা দিলে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। পেট, স্তন, উরু, নিতম্ব, কোমর ইত্যাদি স্থানেই এই দাগ দেখা দেয় বেশি।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে জানানো হল এই দাগ দেখা দেওয়া রোধ করার উপায়।
খাদ্যাভ্যাস: ত্বক ভালো রাখার পূর্বশর্ত হল পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। যেখানে থাকবে দস্তা, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন। এই উপাদানগুলো কোষকলা তৈরি করতে প্রয়োজন এবং এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা দেয়। অর্থাৎ ত্বকে কোষকলা যত বেশি হবে, ফাটা দাগ থেকে সুরক্ষা ততই বাড়বে।
পানি পান: শারীরিক পরিশ্রম যখন বাড়াবেন তখন তাল মিলিয়ে বাড়াতে হবে পানি পানের মাত্রাও। ত্বকসহ অন্যান্য সকল অঙ্গের সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম: শুধু খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করেই হয়ত ওজন কমছে। তারপরও প্রয়োজন আছে ব্যায়ামের, বিশেষ করে ত্বকের জন্য। দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করলেও তা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা পক্ষান্তরে বাড়াবে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা। সেই সঙ্গে ত্বকের বলিরেখা সারাবে এবং পেশি শক্তিশালী করবে ব্যায়াম।
ময়েশ্চারাইজিং: ত্বক সুস্থ রাখায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল তার আর্দ্রতা বজায় রাখা বা ‘ময়েশ্চারাইজ’ করা। এতে ত্বকে ভাঁজ পড়বে না বা ফেটে যাবে না। ত্বক আর্দ্র থাকলে স্থিতিস্থাপকতা বাড়বে, ফলে ফাটা দাগ পড়ার আশঙ্কা কমবে।