জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে কর্মসূচি পালনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। এর মধ্যে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনাও করছেন তারা।
বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এসব কর্মসূচির বিষয়ে আবারও বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, ঐক্যফ্রন্টকে আরও সক্রিয় করতে দৃশ্যমান কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। এর মধ্যে সারাদেশে বিভাগীয় শহর, বৃহৎ জেলাগুলোতে সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ১৩ অক্টোবর জোটের এক বছর হতে যাচ্ছে। এদিনে জাতীয় প্রেস ক্লাব অথবা অন্য কোথাও আলোচনা সভা কিংবা সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন শহরে সমাবেশের ব্যাপারে কথা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার সম্ভাবনা আছে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এবং সম্প্রতি ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানে রাঘববোয়লাদের না ধরার ইস্যুগুলোকে স্থান দিতে চাইছেন তারা। আগামী রোববার তাদের আরও একটি বৈঠক হবে।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। আর অক্টোবর-নভেম্বর চট্টগ্রাম ও সিলেটে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।