ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের অধীনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসামঞ্জস্য ও ভুলের কারণে সেটি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও তাতে ভুল থাকার কারণে রাতেই সেটি স্থগিত করা হয়। রাতে এ সংক্রান্ত এক জরুরি মিটিং শেষে ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ফলাফল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। যেসব জায়গায় ভুল ত্রুটি রয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধানের কাজ চলছে। অনুসন্ধানের পর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলাফলে অসামঞ্জস্য থাকার অভিযোগ তুলেছেন অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। এজন্য ফলাফল বাতিল করে পুনরায় খাতা মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অনেকের ‘ক’ ইউনিটের গণিত অংশের ফলাফলে ভুল হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, গণিত অংশের ফলাফল উল্টো দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অনেক শিক্ষার্থীর গণিত অংশে ১০ প্রশ্ন সঠিক ও তিনটি প্রশ্ন ভুল হয়েছে বলে তারা ভর্তি পরীক্ষার পর মিলিয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, বিষয়টি পুরো উল্টো। অর্থাৎ তিনটি সঠিক ও ১০টি ভুল দেখাচ্ছে। আবার অনেকে অন্য সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেলেও গণিত অংশে ১৫টি ভুল উত্তর দেখাচ্ছে। একরকম অনেক শিক্ষার্থীই অভিযোগ তুলেছেন। তারা অভিযোগ করছেন, সবার ক্ষেত্রেই গণিত অংশের ফলাফল উল্টো হয়েছে। এটা ফলাফল তৈরির ভুল। ভুল উত্তরের সংখ্যার জায়গায় সঠিক উত্তরের সংখ্যা এবং সঠিক উত্তরের সংখ্যার জায়গায় ভুল উত্তরের সংখ্যা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১ দশমিক ২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা গেছে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ ও লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হয়েছে। এ ছাড়া বিষয় ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হয়েছে।