ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত সাদিয়া আক্তার পিংকি জানালেন, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় কোটচাঁদপুরের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব।”
কোটচাঁদপুর উপজেলার সুয়াদি গ্রামের নওয়াব আলীর সন্তান পিংকি লেখাপড়া করেছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। মেয়ে হিসেবে বড় করার পর পরিবার বিয়েও দিয়েছিল, কিন্তু হিজড়া হওয়ায় সেই সংসার টেকেনি।
এক সময় কোটচাঁদপুরে পোশাকের দোকান চালালেও পরে রাজনীতি আর সমাজকর্মে মন দেন পিংকি। গত তিন বছর ধরে তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিজড়াদের ‘লিঙ্গ পরিচয়কে’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ভোটার ফরমে লিঙ্গ পরিচয়ের ঘরে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি হিজড়াদের জন্য আলাদা ঘর রাখে নির্বাচন কমিশন।
ঝিনাইদহের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, “আইনে এখন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হওয়ার সুযোগ আছে। ভোটার হলে নির্বাচনও করা যাবে। তবে পিংকি খাতুন হিজড়া হিসেবে পরিচয় দেননি।”
তবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বছরের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ইচ্ছা করলে পুরুষ কিংবা নারী- যে কোনো পরিচয়েও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।