পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে আধুনিক মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছিতে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১-এর সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফার্ম স্থাপন বিষয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ জন্য ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। অধিগ্রহণ শেষে চুক্তির মাধ্যমে সেতু মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জমি হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন করা হবে, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানও। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গবাদি পশুর প্রজনন, জাত উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বর্তমানে মূল সেতুর কাজ ৮৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। মূল সেতুর সব খুঁটির পাইল ড্রাইভের কাজ শেষ। ইতিমধ্যে ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চীন থেকে মাওয়ায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে এ পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। এর মধ্যে ১৪টি স্থাপন করা হয়েছে খুঁটির ওপর। ১৫তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তের ২৩ ও ২৪ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া চারটি স্প্যান কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ১০টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায়।
সেতুমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর ৩৬১টি রেলওয়ে স্লাব স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের পাইলিং পিয়ার ক্যাপের কাজ শেষ। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্লাব স্থাপনের কাজ চলছে।
ওবায়দুল কাদের জানান, মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। উভয় প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার নদী শাসন কাজের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি শতভাগ সম্পন্ন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম প্রমুখ।