চুনোপুঁটি ধরে পার পাওয়া যাবে না: ফখরুল

0020191108185653

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চুনোপুঁটি ধরে আর ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি থেকে আপনি জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারবেন না।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন, এর হিসাব কোথায়? শেয়ারবাজার থেকে হাজারো কোটি টাকা লুট করে নিয়েছেন, সেই হিসাব কোথায়? এসবের হিসাব থাকবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িতরা কেউ মন্ত্রী, কেউ উপদেষ্টা, আবার কেউ আপনাদের আপনজন।

সরকারে যারা আছেন তারা ৭ নভেম্বরকে স্বীকার করে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা স্বীকার করবে কেন? তারা তো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্বে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখতে চায়, তারা অবশ্যই ৭ নভেম্বরকে বিশ্বাস করে এবং ধারণ করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সারাদিন সাদেক হোসেন খোকার বিভিন্ন জানাজা ছাড়া আর কোনো খবর ছিল না। আজকে আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোতে লক্ষ্য করবেন, এটাকে বেশিরভাগ পত্রিকা ভেতরের এবং পেছনের পাতায় দিয়েছে। আমি জানি মিডিয়াগুলোকে প্রশ্ন করলে তারা বলবে, আমাদের করার কিছু নেই। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘কেউ নির্দেশে করছে, আবার কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে করছে। কারণ এটা ছাপলে হয়তোবা তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যারা কথা বলেন, তাদের টেলিভিশনে ডাকা হয় না, যারা লিখেন, তারা ঘর থেকে বের হতে পারেন না।’

বর্তমান সরকারকে একনায়কতান্ত্রিক সরকার দাবি করে তিনি বলেন, এর থেকে মুক্তি পেতে হবেই। মুক্তির কোনো বিকল্প নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে, অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে আনতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয় এবং আমরা সেই পথেই যাচ্ছি। আমরা মনে করি সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।

Pin It