যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ভোটের এ ফল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবিরের আধিপত্য কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এ নির্বাচনগুলোতে। ২০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো ভার্জিনিয়া আইনসভার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এসেছে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। ভার্জিনিয়ার হাউজ এবং সিনেট দুটোই ডেমোক্র্যাটদের দখলে গেছে।
ওদিকে, কেন্টাকির গভর্নর নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর জয় দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটিক এটর্নি জেনারেল এন্ডি বেশেয়ার। যদিও মিসিসিপি গভর্নর নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে রিপাবলিকানরা।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে থাকার ব্যাপারে ট্রাম্প আশাবাদী হলেও কেন্টাকিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জয় তার সেই আশার বাতিতে শঙ্কার হাওয়া দিচ্ছে।
কেন্টাকির আনুষ্ঠানিক ফল এখনো ঘোষণা হয়নি। সেখানে জয় দাবি করা এন্ডি বেশেয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী গভর্নর ম্যাট বেভিন নির্বাচনে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না তুললেও ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তবে এসব আমলে না নিয়ে ৪১ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট বেশেয়ার বলেছেন, “আমরা প্রথম দিনের কাজ শুরু করতে প্রস্তুত আছি। আমি অধীর আগ্রহে সেটির অপেক্ষা করছি।” বেভিনকে নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানানোর আহ্বানও জানান তিনি। বেশেয়ারের বাবাও কেন্টাকির সাবেক গভর্নর।
বিবিসি জানায়, গত সোমবার রাতেও কেন্টাকিতে বেভিনের এক প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, “বেভিন হেরে গেলে সমালোচকরা একে বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বড় পরাজয় হিসেবেই চিত্রিত করবে।”
এ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হিসেবে ডেমোক্র্যাট বেশার চরম বিপদজনক হবে বলেও ট্রাম্প উল্লেখ করেছিলেন। তবে রিপাবলিকানরা কেন্টাকির গভর্নর পদের নির্বাচনে পরাজিত হলেও অঙ্গরাজ্যের আরও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদে জয় পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ।
ওদিকে, নিউ জার্সিতে ডেমোক্র্যাটরাই রাজ্যের আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভার্জিনিয়ায় রিপাবলিকান শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা জয় পাওয়ায় এখন রিপাবলিকানদের বিরোধিতার পরও কঠোর অস্ত্র-নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবীমা সংস্কার এবং অন্যান্য নীতি নেওয়ার পথে এগুনোর পথ প্রশস্ত হল ডেমোক্র্যাটদের।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো একবছর দেরী থাকলেও মঙ্গলবারের অঙ্গরাজ্য নির্বাচনের এ ফলকে অভিশংসন তদন্তের মুখে থাকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ভোটারদের মধ্যে কতটুকু তারই প্রতিফলন হিসাবে দেখা হচ্ছে।