কৃষক লীগের সভাপতি হয়েছেন সমীর চন্দ্র চন্দ; সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
আওয়ামী লীগের কৃষক সংগঠনটির বুধবার অনুষ্ঠিত দশম সম্মেলনে এই নেতৃত্ব গঠিত হয়। এই প্রথম সংগঠনটির শীর্ষ দুই পদের কোনোটিতে কোনো নারী এলেন।
সকালে শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিকালে কাউন্সিলে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন সভাপতি সমীর ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম দুজনই আগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এরপর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে ১৩ জন প্রার্থী হন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন ১১ জন। তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সমীর ও উম্মে কুলসুমের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “১৩ জন সভাপতি এবং ১১ জন সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয়। এনিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করি, এই সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নেবেন।”
কাউন্সিলররা তাতে সমর্থন জানালে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।
কৃষক লীগের আগের কমিটির সভাপতি ছিলেন মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক রেজা।
নতুন সভাপতি সমীর চন্দ্র তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে গুরুদায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, বাংলার কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে কৃষক লীগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে, একই সঙ্গে দলের কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেত্রী শক্তিশালী করতে কৃষক লীগ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”
কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারিতে যুক্ত। মশিউর রহমান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড কোম্পানির তিনজন মালিকের একজন তিনি।
নতুন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, “আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদের উপর আস্থা রেখে নতুন দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সেই আস্থার প্রতিদান দিতে আমরা প্রস্তুত। সারা বাংলার কৃষকদের সংগঠিত করে আরও শক্তিশালী হবে কৃষক লীগ।”
পেশায় আইনজীবী দশম সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। গাইবান্ধার উম্মে কুলসুম ১৯৯৩ সালে ঢাকা বারে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সাংস্কৃতিক সম্পাতক ছিলেন।