বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগে অনেক রাজাকার আছে, যাদের নাম এ তালিকায় নেই। রাজাকারদের সঠিক তালিকা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাতে আওয়ামী লীগে থাকা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নামও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার না করে তৈরি রাজাকারের তালিকা কতটুকু সঠিক হয়েছে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তালিকায় বিএনপি আমলের রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস ও প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নাম থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে। বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব তালিকা তারা প্রকাশ করেছে।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নাজিমউদ্দিন আলম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
এ ছাড়া অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার, জিএম শামসুল হক, নবী উল্লাহ নবী, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ নেতারা নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
সকালে মির্জা ফখরুলসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ও নির্যাতিত খালেদা জিয়াকে অন্যায় ও নির্মমভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, এত বছর পরও এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রহীন। এ দেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করছি যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।