মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার হয়েছে ধর্ষক মজনু। বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মজনুকে গ্রেপ্তারের বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, মামলাটি ক্লুলেস ছিল। মূলত নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করতে আমরা সক্ষম হই।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটি পালিয়ে যাওয়ার পর মজনু তার রেখে যাওয়া মোবাইল ও অন্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মজনু সেই মোবাইল শেওড়া এলাকার অরুণা নামের একজনকে দেয়। অরুণা আবার মোবাইলটি খায়রুল নামে একজনের কাছে বিক্রি করে। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই শেওড়া স্টেশনের কাছ থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মজনু ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে। বলেছে সে একাই ছিল, নির্যাতনের শিকার ছাত্রীও তেমনই বলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে মজনু র্যাবকে জানিয়েছে, সে নিরক্ষর। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সে আর বিয়ে করতে পারেনি। তাই সে এ ধরনের কাজ করতো।
ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে বাসে ওঠেন ঢাবি শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর মজনু তাকে পেছন থেকে গলা ঝাপটে ধরে পাশে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাস্তায় বের হয়ে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখে। এরপরই সে আলোড়িত হয় ও ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করে।
পরিশেষে বলতে হয় “আমার দুইশ টাকার ধান খাইল দুই টাকার ছাগলে !”