পায়রা কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ১০০ মেগাওয়াট লোডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।
আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালিত ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে এখন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হবে। আজ ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু করা হয় ৷
এর আগে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট, যা গ্যাসচালিত।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথমালিকানার বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসিএল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম কেন্দ্রটির উৎপাদন শুরুর খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে বেশ কিছুক্ষণ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালানো হয়েছে। প্রতিদিন অল্প অল্প করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো হবে।’
কেন্দ্রটি রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। দুই বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই কেন্দ্রের ঋণ সহায়তা দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। কেন্দ্রটি নির্মাণে এনডব্লিউপিজিসিএল এবং সিএমসি যৌথভাবে বিসিপিসিএল গঠন করেছে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট রয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে আগামী মে মাসে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ।