ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয় বলে পেন্টাগনের বরাত দিয়ে শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হওয়া এক হামলায় কাসেম সোলেমানি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি জেনারেল সোলেমানি। তার কুদস বাহিনী সরাসরি দেশটির প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে রিপোর্ট করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে, কিন্তু এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
মার্কিন হামলা বা কারো নিহত হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া গ্রুপ পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস রয়টার্সকে জানিয়েছে, জেনারেল সোলেইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হয়েছেন।
এর আগের খবরে বলা হয়, বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট হামলায় অনেক মানুষ মারা গেছে। এই হামলার পরপর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশে থাকে মার্কিন নাগরিকদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনী এক অভিযানে জেনারেল সোলেমানিকে হত্যা করেছে।
এতে বলা হয়, ইরানের ভবিষ্যত আক্রমণের পরিকল্পনা বানচাল করতে এই হামলা চালানো হয়। সারাবিশ্বে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডসও জেনারেল সোলেমানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ যারিফ এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। টুইট করে তিনি টুইট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের হঠকারিতার ফল ভোগ করবে।
ইরান সরকারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন- ঘন্টাখানেকের মধ্যে দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এই ‘অপরাধী কার্যক্রম’এর বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবেন।