ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলার যুবারা

akbar20200209221347

কোয়ার্টারে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা, সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। এবার আরেকটি ইতিহাস গড়লো যুবা টাইগাররা দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে বৃষ্টি আইনে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় যুবাদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলীর দল। প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রান করে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে ৪৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৪২.১ ওভারে ১৭০ রান করে বাংলাদেশ।

ভারতকে জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৮.৫ ওভারে দলীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান। কিন্তু এরপর ১৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।

রবি বিশ্নয়ের ঘূর্ণিতে দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয় (৮), তৌহিদ হৃদয় (০) ও শাহাদাত হোসেন। এর আগে তানজিদকে (১৭) আউট করে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিও ভাঙেন তিনি। দলের দুঃসময়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার ইমন।

৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছে তখন অধিনায়কের মতোই দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন আকবর। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শামীম হোসেন (৭) ও অভিষেক দাস (৫)। পরে পুনরায় ব্যাট হাতে ফিরে আসেন ইমন।

আকবর-ইমনের ৪১ রানের জুটি ভাঙেন জসওয়াল। ৭৯ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করে আকাশ সিংয়ের হাতে বন্দী হন ইমন। এরপর রাকিবুল হাসানকে নিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন আকবর।

ধীরে ধীরে যখন বাংলাদেশ জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন ৪১তম ওভারে বৃষ্টি নেমে আসে। যুবা টাইগারদের রান তখন ৭ উইকেটে ১৬৩। ৫৪ বলে দরকার তখন মাত্র ১৫ রান। ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে তখনও বাংলাদেশ ১৮ রানে এগিয়ে ছিল।

বৃষ্টি শেষে পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ডিএল পদ্ধতিতে তখন যুব টাইগারদের দরকার হয় ৩০ বলে ৭ রান। সেই রান নিতে কোনো বেগ হতে হয়নি বাংলাদেশকে। আকবরের ৭৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ এবং রাকিবুলের ৯ রানের ইনিংসে ভর করে  অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুবা টাইগাররা।

এর আগে রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রমের সেনওয়েজ পার্কের ফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তানজিম হাসান সাকিব আর শরিফুল ইসলাম মিলে প্রথম ৬ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৮ রান। এরপর ৭ম ওভারে এসেই মেডেন ওভারের পাশাপাশি ১ উইকেট তুলে নেন অভিষেক।

তবে প্রথম উইকেট হারানোর পর থেকেই উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগ বাড়ায় ভারত। দুই ব্যাটসম্যান যশস্বী জসওয়াল ও তিলক ভার্মা মিলে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকেন। এমনকি মাঝে ৫০ বলে কোনো বাউন্ডারিও হাঁকাননি তারা।

২৫ ওভারের পর থেকে রান তোলার দিকে ঝুঁকতে শুরু করে ভারত। তবে সাকিবের বলে তিলকের বিদায়ে বড় ধাক্কাই খায় তারা। শরিফুলে হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।

এরপর দলীয় ১১৪ রানে প্রিয়মকে (৭) হারায় ভারত। ভারতের যুব অধিনায়ককে সাজঘরে ফেরান রাকিবুল হাসান। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে মাটি লড়াই করতে থাকেন জসওয়াল। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে থাকতে শরীফুলের বলে তানজিদের হাতে বন্দী হন তিনি। তার ১২১ বলে ৮৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ১ ছক্কায়।

জসওয়ালকে বিদায়ে দেওয়ার বলেই সিদ্ধেশ ভীরকে শূন্যহাতে সাজঘরে ফেরান শরীফুল। এরপর রানআউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল (২২)। রান আউট হন রবিও (২)। এরপর অভিষেক এসে বোল্ড করেন অথর্বকে (৩)। কার্তিক তিয়াগিকে ডাক উপহার দিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন অভিষেক। এরপর শেষ উইকেট হিসেবে আউট হোন সুশান্ত মিশ্র (৩)। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন আকাশ সিং।

যেকোনো ধরণের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিক্তিক, এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও কখনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা।

সেই সঙ্গে ভারতের উপর একটি প্রতিশোধও নিল যুব টাইগাররা। এই ভারতের বিপক্ষেই সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলও এশিয়া কাপের ফাইনাল ও নিদাহাস ট্রফিতে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হেরে যায় ভারতের বিপক্ষে। তবে এবার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ঠিকই ভারতকে বড় মঞ্চে হার উপহার দিল বাংলাদেশ।

‘দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা…’। ভারতের কাছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এশিয়া কাপের ফাইনালে হার, নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে হার। বিশ্বকাপে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নকআউটে হেরে বিদায়। যুবাদেরও ভারতের কাছে হারের ক্ষত কম নয়। এশিয়া কাপের ফাইনালে হৃদয় ভেঙেছে তাদের। দেনার কথা উঠতেই তাই ‘শুধিতে হইবে ঋণ’ কথাটিও চলে আসে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেই ঋণ শোধ করল। ভারতকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে দেশকে এনে দিলো বিশ্বকাপ।

প্রথমে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শরিফুল-সাকিবরা দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতকে ১৭৭ রানে অলআউট করে দেয়। জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করে যুবারা। তুলে ফেলে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান। কিন্তু এরপরই পথ হারায়। তামিম-জয়, হৃদয়-শামিমরা ফিরে যান একে একে।দলকে ভরসা দেওয়া পারভেজ ইমন ইনজুরি নিয়ে উঠে যান। পরে তিনিই মাঠে নেমে অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গ দিয়ে ম্যাচ বের করে আনার আভাস দেন। কিন্তু নিজের ৪৭ রানে শট খেলতে গিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার।

কিন্তু দলকে পথ হারাতে দেননি অধিনায়ক আকবর আলী। ঠান্ডা মাথায় দলকে টানছিলেন তিনি। তাকে উইকেট ধরে রেখে সঙ্গ দিচ্ছিল স্পিনার রাকিবুল। পরে জয় হতে ১৫ রান দুরে থাকতে নামে বৃষ্টি। বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য নেমে আসে ৩০ বলে সাত রানে। ওই রান তুলতে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি দলের।

avishek-090220-01

রবি বিষ্ণুইয়ের লেগ স্পিনে দিশা হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ক্র্যাম্পের জন্য মাঝপথে মাঠ ছাড়া পারভেজ হোসেন ফিরে খেললেন বীরত্বপূর্ণ এক ইনিংস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে দলকে টানলেন আকবর আলী। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। জিতল যুব বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা

প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করল বাংলাদেশ। হারিয়ে দিল শক্তিশালী ভারতকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আকবর আলিরা ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে ৩ উইকেটে।

বৃষ্টির পর নতুন করে খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫ ওভারে ৭ রান। ১ ওভার ১ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সাওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*; শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০)

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ১৭০) ৪২.১ ওভারে ১৭০/৭ (পারভেজ ৪৭, তানজিদ ১৭, মাহমুদুল ৮, হৃদয় ০, শাহাদাত ১, আকবর ৪৩*, শামীম ৭, অভিষেক ৫, রকিবুল ৯*; কার্তিক ১০-২-৩৩-০, সুশান্ত ৭-০-২৫-২, আকাশ ৮-১-৩৩-০, বিষ্ণুই ১০-৩-৩০-৪, আনকোলেকার ৪.১-০-২২-০, জয়সওয়াল ৩-০-১৫-১)

ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী

৫ ওভারে ৭ রান চাই বাংলাদেশের

বৃষ্টিতে কমেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৬ ওভারে ১৭০ রানের লক্ষ্য। ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করা দলটির শেষ ৫ ওভারে চাই ৭ রান।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। শেষ ৯ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫ রান।

৪১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৩/৭। ডাকওয়ার্থ লুইসে এই সময় তাদের প্রয়োজন ১৪৭ রান। ১৬ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।

বীরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফিরলেন পারভেজ

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলছিলেন পারভেজ হোসেন। আকবর আলীর সঙ্গে গড়েন চমৎকার একটা জুটি। রবি বিষ্ণুইয়ের দুটি ওভার খেলে দলে এনেছিলেন স্বস্তি। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দিলেন যাশাসবি জয়সাওয়াল।

৭৯ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করেন পারভেজ হোসেন। ৩২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৩/৭। ক্রিজে রকিবুল হাসানের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম। জয়ের জন্য শেষ ১৮ ওভারে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।

দৃষ্টিকটু আউট অভিষেক

বিনা উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশের সংগ্রহ। একশ রান করেছে ছয় উইকেটে।

সুশান্ত শর্মার এক ওভারে দুইবার জীবন পেয়েও শিখেননি অভিষেক দাস। সেই ওভারেই অহেতুক চড়াও হয়ে গিয়ে বিলিয়ে এসেছেন নিজের উইকেট। ম্যাচে আরেকটু দৃঢ় হয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণ।

২৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৬। আকবরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের এটাই শেষ জুটি।

উইকেট ছুড়ে এলেন শামীম

দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর সবে গড়ে উঠছিল একটা জুটি। সেটাকে পূর্ণতা দিতে পারলেন না শামীম হোসেন। অহেতুক শট খেলে ফিরে গেলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

বাজে এক বলে উইকেট পেলেন সুশান্ত মিশ্র। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে শর্ট বল যে কোনো জায়গায় পাঠানো যেত, শামীম পাঠালেন ফিল্ডার যাশাসবি জয়সাওয়ালের হাতে। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।

১৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেন শামীম। ২১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৫/৫। ক্রিজে আকবর আলীর সঙ্গী অলরাউন্ডার অভিষেক দাস।

বিষ্ণুইয়ের চতুর্থ শিকার শাহাদাত

রবি বিষ্ণুইয়ের জবাব যেন খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দলের বিপদ বাড়িয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেলেন শাহাদাত হোসেন।

পা বাড়িয়ে খেলেছিলেন শাহাদাত। খেলার সময় পা একটু বেরিয়ে গিয়েছিল। গড়িয়ে আসা বল ধরে বেলস ফেলে দেন ধ্রুব জুরেল।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/৪। ক্রিজে আকবর আলীর সঙ্গী শামীম হোসেন।

হৃদয়কে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

রবি বিষ্ণুইয়ের লেগ স্পিনে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ১৯ বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ ফিরিয়েছেন বিষ্ণুই।

গুগলি বুঝতেই পারেননি হৃদয়। পিছিয়ে খেলতে গিয়ে বলে-ব্যাটে করতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শূন্য রানে।

১৫ ওভারে ভারতের স্কোর ৬৪/৩। ক্রিজে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গী অধিনায়ক আকবর আলী।

মাঠ ছাড়লেন পারভেজ

হুট করে চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল আউট হওয়ার পর ক্র্যাম্পের জন্য মাঠ ছাড়লেন ওপেনার পারভেজ হোসেন।

১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/২। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন।

বিষ্ণুইয়ের দ্বিতীয় শিকার মাহমুদুল

বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন রবি বিষ্ণুই। তানজিদ হাসানের পর সেমি-ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসানকে ফেরালেন এই লেগ স্পিনার।

গুগলি বুঝতে পারেননি মাহমুদুল। পিছিয়ে গিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। দুই চারে ১২ বলে ৮ রান করেন মাহমুদুল।

১২.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/২। ক্রিজে পারভেজ হোসেনের সঙ্গী তৌহিদ হৃদয়।

ভালো শুরু দিয়ে ফিরলেন তানজিদ

সবে বোলিংয়ে এলেন ভারতের আক্রমণের সেরা অস্ত্র রবি বিষ্ণুই। এই লেগ স্পিনারের ওপরই চড়াও হলেন তানজিদ হাসান। ছক্কায় দলের রান নিয়ে গেলেন পঞ্চাশে। আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে। ভাঙল ৫০ রানের জুটি।

২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করেন তানজিদ। ৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫০/১। ক্রিজে পারভেজ হোসেনের সঙ্গী সেমি-ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ৪১ ওভারে ১২৮ রান চাই বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। ভারতীয় দুই পেসার কার্তিক তিয়াগি ও সুশান্ত মিশ্রর আগুনে গোলা ভালোভাবে সামাল দিচ্ছেন দুই ওপেনার।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৯/০। পারভেজ ও তানজিদ ৯ রানে ব্যাট করছেন।

শিরোপা জিততে ১৭৮ রান চাই বাংলাদেশের

ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করা তানজিম হাসান আক্রমণে ফিরে পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। ৪৭ ওভার ২ বলে ১৭৭ রানে গুটিয়ে গেল ভারত। ১৩ ম্যাচ পর যুব ওয়ানডেতে অলআউট হলো দলটি।

থার্ড ম্যানে সুশান্ত মিশ্রর ক্যাচ ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান শরিফুল।

বাংলাদেশের বোলিং ছিল আগুনে। ফিল্ডিংয়ে শরীরি ভাষায় ছিল বারুদ। যাশাসবি জয়সাওয়ালের দারুণ ইনিংসের পরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ভারত।

অভিষেক দাস ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন তানজিম ও শরিফুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সাওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*; শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০)

অভিষেকের জোড়া ধাক্কা

হাসান মুরাদের জায়গায় ফাইনালে খেলা অভিষেক আক্রমণে ফিরে দিলেন জোড়া ধাক্কা। ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করলেন অথর্বা আনকোলেকারকে। শেষ বলে কট বিহাইন্ড করলেন কার্তিক তিয়াগিকে।

অভিষেকের শর্ট বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে চেয়েছিলেন আনকোলেকার। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস।

৭ বলে ৩ রান করে ফিরেন আনকোলেকার। শেষ বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান তিয়াগি। লেগ স্টাম্পের বলে কিপারেরে চমৎকারে ফিরেন তিয়াগি।

৪৫ ওভারে ভারতের স্কোর ১৭২/৯। ক্রিজে সুশান্ত মিশ্রর সঙ্গী আকাশ সিং।

রান আউট বিষ্ণুই

রান আউটে টানা দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভারত। নিজের বলে ফিল্ডিং করে রান আউট করে রবি বিষ্ণুইকে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম।

বাঁহাতি পেসারের ইন সুইং ইয়র্কার ঠিক মতো খেলতে পারেননি অর্থবা আনকোলেকার। তবুও রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। বিষ্ণুইয়ের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকা শরিফুল ছুটে গিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে ফেলে দেন বেলস।

৬ বলে ২ রান করে ফিরেন বিষ্ণুই। ৪৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৭০/৭। ক্রিজে আনকোলেকারের সঙ্গী সুশান্ত মিশ্র।

রান আউট জুরেল

জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আরেকটি উইকেট হারাল ভারত। রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন ধ্রুব জুরেল।

রকিবুল হাসানের বল জুরেল পয়েন্টের দিকে খেলার পর রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। রান সম্ভব নয় বুঝে ফিরে যান অর্থবা আনকোলেকার। শামীম হোসেনের থ্রো ধরে আকবর আলি বেলস ফেলে দেওয়ার সময় দুই ব্যাটসম্যানই ছুটেছেন নন স্ট্রাইকার প্রান্তে।

দৌড়ে জিতে টিকে যান আনকোলেকার। ৩৮ বলে এক চারে ২২ রান করে ফিরে যান জুরেল।

৪৩ ওভারে ভারতের স্কোর ১৬৯/৬। ক্রিজে আনকোলেকারের সঙ্গী রবি বিষ্ণুই।

শরিফুলের জোড়া আঘাত

দুই জনের দ্বৈরথ চলছিল প্রথম বল থেকে। অনেকবার ভোগালেও পেরে উঠছিলেন না শরিফুল ইসলাম। অবশেষে পারলেন, সেঞ্চুরির আগেই যাশাসবি জয়সাওয়ালকে ফিরিয়ে ভারতকে বড় একটা ধাক্কা দিলেন বাঁহাতি এই পেসার। পরের বলে ফিরিয়ে দিলেন সিদ্ধেশ বীরকে।

আগের বলে স্লোয়ার জায়গায় রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি তুলে নেন জয়সাওয়াল। শরিফুলের বলে এটাই ম্যাচে প্রথম বাউন্ডারি। পরের বলটি ছিল শর্ট। ঠিক মতো পুল করতে পারেননি ভারতীয় বাঁহাতি ওপেনার। শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান তানজিদ হাসান।

১২১ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৮৮ রান করেন জয়সাওয়াল। পরের বলটি ছিল ফুলটস। ব্যাটে খেলতে পারেননি বীর। পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।

৪০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৫৬/৫। ক্রিজে ধ্রুব জুরেলের সঙ্গী অর্থবা আকোলেকার।

ভারত অধিনায়ককে ফেরালেন রকিবুল

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে রানের জন্য ছটফট করছিলেন প্রিয়ম গার্গ। ভারত অধিনায়ককে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রকিবুল হাসান।

বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শটে কাভারে তানজিম হাসানের হাতে ধরা পড়েন গার্গ। ৯ বলে ফিরেন ৭ রান করে।

৩২ ওভারে ভারতের স্কোর ১১৪/৩। ক্রিজে যাশাসবি জয়সাওয়ালের সঙ্গী ধ্রুব জুরেল।

আক্রমণে ফিরে জুটি ভাঙলেন তানজিম

জুটি ভাঙার জন্য মরিয়া ছিলেন আকবর আলী। একের পর এক বোলার পাল্টাচ্ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অবশেষে মিলল সাফল্য। নতুন স্পেলে ফিরে জুটি ভাঙলেন তানজিম হাসান। ফিরিয়ে দিলেন তিলক ভার্মাকে।

অফ স্টাম্পের বল ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন তিলক। পার করতে পারেননি শরিফুল ইসলামকে। সীমানায় চমৎকার এক ক্যাচ নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এই পেসার। ভাঙে ৯৪ রানের জুটি।

তিন চারে ৬৫ বলে ৩৮ রান করেন তিলক। ক্রিজে যাশাসবি জয়সাওয়ালের সঙ্গী অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ। ৩০ ওভারে ভারতের স্কোর ১০৭/২।

জয়সাওয়ালের ফিফটি

টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ব্যাটিং করা যাশাসবি জয়সাওয়াল তুলে নিয়েছেন ফিফটি। সিঙ্গেল নিয়ে ৮৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি ওপেনার।

২৮ ওভারে ভারতের স্কোর ৯৫/১। জয়সাওয়াল ৫০ ও তিলক ভার্মা ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।

জয়সাওয়াল-তিলকের জুটিতে পঞ্চাশ

সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াচ্ছে ভারত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন যাশাসবি জয়সাওয়াল ও তিলক ভার্মা।

১৮ ওভারে ভারতের স্কোর ৫৯/১। জয়সাওয়াল ৩৫ ও তিলক ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট

দারুণ বোলিং করলেও পাওয়ার প্লেতে কেবল একটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।

প্রথম ১০ ওভারে ৪৯টি ডট বল খেলা ভারত করেছে ১ উইকেটে ২৩ রান। ৩৫ বলে ১৪ রানে ব্যাট করছেন যাশাসবী জয়সাওয়াল। ২ রানে খেলছেন তিলক ভার্মা।

প্রথম আঘাত অভিষেকের

দারুণ বোলিং করে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পেল সপ্তম ওভারে। দিব্যানশ সাক্সেনাকে ফিরিয়ে দিলেন অভিষেক দাস।

শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসানের বলে রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা সাক্সেনা চাপ আলগা করতে চেয়েছিলেন বাউন্ডারিতে। অভিষেকের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে পয়েন্ট নিয়ে চার মারতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ওপেনার। টাইমিং করতে পারেননি, ধরা পড়েন পয়েন্টে।

১৭ বলে ২ রান করেন সাক্সেনা। ৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৯/১। যাশাসবী জসওয়ালের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন তিলক ভার্মা।

আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরু

দারুণ বোলিংয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান। প্রচুর ডট বল খেলে কঠিন সময়টা পার করছেন যাশাসবি জয়সওয়াল ও দিব্যানশ সক্সেনা।

৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৮/০। টানা দুটি ওভার মেডেন নিয়েছেন তানজিম। একমাত্র রানটি এসেছে ওয়াইড থেকে। শরিফুল দিয়েছেন ৭ রান।

সাক্সেনা ২ ও জয়সওয়াল ৩ রানে ব্যাট করছেন।

মেডেন নিলেন তানজিমও

শরিফুল ইসলামের পর মেডেন দিয়ে শুরু করলেন তানজিম হাসানও। সাধারণত শরিফুলের সঙ্গে নতুন বল ভাগ করে নেন শামীম হোসেন। এবার অফ স্পিনারকে শুরুতে আনেননি অধিনায়ক আকবর আলী।

সুইং ও বাউন্স দিয়ে দিব্যানশ সক্সেনাকে পুরোটা ওভার ভাবিয়েছেন তানজিম। চতুর্থ বলে একটুর জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি ভারতীয় ওপেনারের হুক।

শরিফুলের মেডেন দিয়ে শুরু

চমৎকার এক ওভার দিয়ে শুরু হলো ফাইনাল। যাশাসবি জয়সওয়ালকে প্রথম ওভার মেডেন খেলালেন শরিফুল ইসলাম। দুইবার একটুর জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল। ষষ্ঠ বল গেছে স্টাম্পের বেশ কাছ দিয়ে।

সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম দুটি ওভার মেডেন নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল।

অপরিবর্তিত ভারত

কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়া দলটির ওপরই আস্থা রেখেছে তারা।

ভারত: যাশাসবি জয়সওয়াল, দিব্যানশ সাক্সেনা, তিলক ভার্মা, ধ্রুব জুরেল, প্রিয়ম গার্গ, সিদ্ধশ বীর, অর্থবা আনকোলেকার, রবি বিষ্ণুই, সুশান্ত মিশ্র, কার্তিক তিয়াগি, আকাশ সিং।

মুরাদের জায়গায় ফিরলেন অভিষেক

বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের জায়গায় পেসার অভিষেক দাসকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। দলে পরিবর্তন এই একটিই।

বাংলাদেশ: পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন, আকবর আলী, অভিষেক দাস, রকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান।

ছবি: আইসিসি

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি।

বাংলাদেশের সামনে ইতিহাসের হাতছানি

প্রথম শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখা বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণ থেকে কেবল এক ধাপ দূরে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমবার, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। আছে উত্তেজনা ও স্নায়ুচাপ। সে সবকে দূরে রেখে আর আট-দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি খেলে জিততে চায় আকবর আলির দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়।

বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। গত বছর যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল ও ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের।

সেসব ভেবে অবশ্য ভীত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। জানিয়েছেন, ভারতকে হারানোর রসদ আছে তার দলে। সতীর্থদের ওপর আস্থা রেখে স্বপ্ন দেখছেন বিশ্ব জয়ের।

গ্রুপ পর্বে সেরা হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে নিজেদের গ্রুপ সেরা হওয়া ভারত।

Pin It