অস্ত্র আইনের মামলায় হাই কোর্টে ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা আয়োজিত এক কর্মশালার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে অস্ত্র আইনে মামলাটি হয়েছে, সেখানে সুস্পষ্ট বলা আছে, বেইলের ব্যাপারে দুই পক্ষকে শুনতে হবে। এখানে যদি সেটার ব্যত্যয় হয়ে থাকে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আর যদি ব্যত্যয় হয়ে না থাকে তাহলে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কী বলেছিলেন সেটার তদন্ত করা হবে।”
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর পাঁচ মাস আগে গ্রেপ্তার হন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে তিনটিসহ মোট চারটি মামলা হয়েছে।
জি কে শামীমের জামিন ‘নাম বিভ্রাটে’, আদেশ প্রত্যাহার
রাষ্ট্রপক্ষের অগোচরে হাই কোর্ট থেকে জিকে শামীম কীভাবে জামিন পেলেন সাংবাদিকদের তা জানতে চাইলে রোববার আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি গতকালকে টেলিভিশন স্ক্রলে এটা দেখেছি।
“আমি তৎক্ষণাত এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবকে বলেছি যে, কেন রাষ্ট্রপক্ষ ব্যাপারটি জানতো না এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তাদের কোনো গফিলতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য।”
এদিকে রোববারই অস্ত্র মামলার পর মাদকের মামলাতেও জিকে শামীমের জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট।
আইনমন্ত্রী বলেন, “গতকালকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে আপিল করার জন্য এবং এখন আমি আপনাদের কাছে শুনলাম যে অলরেডি জামিন বাতিল হয়েছে।”