মধ্যরাতে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ধরে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনসহ জেলা প্রশাসনের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
একই সঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এ জন্য ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ ওই চার কর্মকর্তাকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। সুলতানা পারভীন ছাড়া বাকি কর্মকর্তারা হলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাবেক সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।
১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরে মাদক মামলায় সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে অবশ্য জামিনে মুক্ত হন তিনি। তাকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন আরিফুল ইসলাম। তার অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) নাজিম উদ্দিন বাড়িতে ঢুকে তাকে পেটান। আর এনকাউন্টারে দেওয়ারও হুমকি দেন। জেলা প্রশাসকের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণেই তার ওপর নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ করেন আরিফুল।
ঘটনার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সাবেক ডিসিকে প্রত্যাহারসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।