সরকারের ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) সার্ভার। বিভিন্ন সংস্থার সুবিধার্থে ২৪ ঘন্টা ইসির তথ্যভান্ডার সচল রাখা হয়েছে। ছুটির মধ্যে নাগরিকদের সেবা কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্নের কাজ শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডির) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, এনআইডির সার্ভার ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হয়েছে। এজন্য ইসির ৬ থেকে ৮ জনের একটি টীম দায়িত্ব পালন করছে। ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে এনআইডি সার্ভার বন্ধ করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, এনআইডি সার্ভার ২৪ ঘন্টা চালু আছে। একইভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সংগ্রহ, সংশোধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বেশ কিছু সেবা গত শুক্রবার থেকে চালু করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইসির কাছে প্রায় ১১ কোটি নাগরিকের তথ্যভান্ডার আছে। সরকারের বিভিন্ন সেবা সংস্থা, মোবাইল অপারেটর থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে অনলাইন সার্ভিস নিতে পারেন। বিশেষ করে নাগরিকের তথ্য সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এনআইডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ছুটির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে এনআইডি সংশোধন, হারানো এবং স্থানান্তর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এমনকি ইসির ইন্টারনাল সাইট বন্ধ ছিল। কেন্দ্রের সঙ্গে এ সময় মাঠ পর্যায়ে কোনো সংযোগ ছিল না। ইন্টারনাল সাইট বন্ধ থাকার কারণে মাঠ পর্যায়সহ কোনো ডেস্ক থেকে কোনো কাজ করা যায়নি। এ অবস্থায় মাঠ পর্যায় থেকে অনলাইনে মাধ্যমে এনআইডির সংশোধন, হারানো বা স্থানান্তরের আবেদনগুলো গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো।
ইসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ছুটির মেয়াদ আরো বাড়তে পারে। এজন্য অনলাইনে উপজেলা ভিত্তিক আবেদন নেয়ার জন্য চিন্তা আছে। এক্ষেত্রে অনলাইনে এনআইডির আবেদন নিয়ে অনলাইন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাখা হবে। তবে বন্ধের মধ্যে কাউকে এনআইডি দেয়ার পরিকল্পনা নেই। সেক্ষেত্রে ছুটির মেয়াদ শেষ হলে তারপর এনআইডি পাবেন সেবাগ্রহীতারা।
গত ২১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। কিন্তু সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে সেবা বন্ধের কার্যকাল দু’দফা বেড়ে ১১ এপ্রিল হয়েছে।