এবারের বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৬ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সে হিসাবেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থেকে কাজ করতে হবে।
এসময় তিনি দলের স্থানীয় নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকার ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট সরকারি বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে, তাই আমাদের আগাম প্রস্তুতি থাকতে হবে। ১৯৯৮ সালের বন্যা ছিল সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি, ১৯৮৮ সালের বন্যা ছিল ২ সপ্তাহব্যাপী। প্রাকৃতিক কারণে শ্রাবণ মাসের বন্যা দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয় এবং ভাদ্র মাসে তা দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে নেমে যায়। এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বরাবরের মতো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এজন্য তিনি বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনবার্সন কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী মর্যাদাপূর্ণ ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা সীমিত পরিসরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হচ্ছে। জাতির পিতা সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন। এ দেশের মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার মহান আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেবে এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।