আগের কারিকুলামেই বই, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত শিগিগরই

image-164780-1594154769

যারা এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শিগিগরই শুরু হবে। যেহেতু অনলাইনে এই ভর্তি কার্যক্রম হয়, এ কারণে ভর্তি নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্প্রতি এক বক্তব্যেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

যারা এবার এসএসসি পাশ করেছেন তারা কলেজে ভর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রতিনিয়ত ঢাকা বোর্ডে খোঁজখবর নিচ্ছেন। খোঁজ নিচ্ছেন কলেজগুলোতেও। এসএসসির ফল প্রকাশের পরপরই কলেজগুলোতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রচার করলেও ঢাকা বোর্ড থেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে ঐ সব বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শিগ্গরিই শুরু হবে। তবে তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। আমরা আরো একটু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও পাঠ্যবইয়ের কারিকুলাম আধুনিকায়নের কাজ বেশি দূর এগিয়ে নেওয়া যায়নি। নতুন কারিকুলাম প্রবর্তন এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষে আগের কারিকুলামেই বই পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। বইয়ে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন, পরিমার্জন নেই। এ কারণে উচ্চমাধ্যমিকের বাজারে যে বই রয়েছে তা কিনে পড়তে পারবে শিক্ষার্থীরা। সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি বই—বাংলা, ইংরেজি ও বাংলা সহপাঠ এখন থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে পাওয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি উত্তরণের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বইটি বাজারে পাওয়া যাবে। এ বইটি এবার প্রথমবারের মতো সরকার প্রকাশ করছে।

জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকে মোট পাঠ্যবই ৩৯টি। এর মধ্যে সরকার এতদিন তিনটি বই প্রকাশকদের মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছিল। বিনিময়ে ১১ শতাংশ হারে রয়্যালটি নেয় সরকার।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সব কলেজ বন্ধ আছে। এতে শিক্ষার্থীরা বই কিনতে পারেনি। এজন্য বাজারে আমরা বইয়ের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আরো চার মাসের জন্য বিদ্যমান তিনটি বই বিক্রির অনুমতি দিয়েছি। এ কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেসের চুক্তির মেয়াদ চার মাস বাড়ানো হয়েছে। আর আইসিটি বইটি রচনা শেষে মূল্য নির্ধারণের কাজ চলছে। মূল্য নির্ধারণ হয়ে গেলেই আমরা দরপত্রে যাব।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আগামীতে যে বই আসবে সেখানে খুব একটা পরিবর্তন নেই। সিলেবাস ও কারিকুলাম একই। বানান ভুল থাকলে সেগুলো সংশোধন হবে। তিনি বলেন, করোনার কারণে যারা বই কিনে পড়তে পারেনি, এছাড়া যারা প্রথম বর্ষে থেকে দ্বিতীয় বর্ষে উঠবে; কিন্তু এখনো বই কিনে নি তারাও বাজারে যে বই পাওয়া যাচ্ছে তা কিনে পড়তে পারে। এ কারণে কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেসের চুক্তির মেয়াদ চার মাস বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

তথ্য অনুযায়ী, এনসিটিবির এই সিদ্ধান্তের কারণে অক্টোবর পর্যন্ত ইতিপূর্বে মুদ্রিত ও বাজারজাতকৃত এনসিটিবির তথ্য মতে, পাঠ্যপুস্তক তিনটি বই ক্রয়, বিক্রয়, সংগ্রহ ও পাঠদান কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর হাতে যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর কাজে কোনো প্রকার বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, অসদুপায় অবলম্বন ও পাঠ্যপুস্তক তথ্য বিকৃতিসহ নকল পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Pin It