ক্লাবগুলোকে অনুদানের কথা বলেনি ফিফা

image-171573-1596166871

গত জুনে ফিফা জানিয়েছিল করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত তার ২১১টি সদস্য দেশকে এক মিলিয়ন ডলার করে আর্থিক সহযোগিতা দেবে। ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে এও জানিয়ে দিয়েছে কোন কোন খাতে কোভিড-১৯ এর অনুদানের টাকা খরচ করা যাবে। ফিফা বলেছে পুনরায় খেলা শুরু করার জন্য টাকা খরচ করা যাবে। জাতীয় দলের বিভিন্ন কম্পিটিশনে যাওয়ার খরচ, ফুটবল উন্নয়নে, জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ কোচিং স্টাফ নিয়োগে খরচ, ফুটবল অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতেও খরচ করা যাবে। কোথাও বলা নেই ক্লাবগুলোকে ভাগ করে অনুদান দিতে হবে।

তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, ক্লাবগুলোকে কোভিডের টাকা দিতে বলা না হলেও আমরা আমাদের যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছেন তাদের কথাও ভাবছি। সোহাগ বলেন, ‘আমরা ডিএফএ, ক্লাব, সংগঠক, কোচ খেলোয়াড়, রেফারি, সংগঠকদের এই কাভারেজের মধ্যে আনা যায় কি না সেটা নিয়েই আমাদের জোর প্রচেষ্টা থাকবে।’

ক্লাবগুলোই নয়, কোচ রেফারি সংগঠকদের কথাও ভাবছে বাফুফে। তবে এটা চাইলেই করতে পারবে না বাফুফে। সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা ঈদের পর ফিফার সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করব। সেখানে ক্লাব, কোচ, সংগঠক, খেলোয়াড়, রেফারিসহ অন্য বিষয়গুলো তুলব যেন তারা ভেবে দেখে।’

তিনি বলেন, ‘ফিফার সঙ্গে আমরা যতটুকু কথা বলে বুঝতে পারছি ২১১টি দেশের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও সবাই একই সমান ভুক্তভোগী না। কারো বিশেষ অনুরোধ থাকলে সেটি বিবেচনা করতে পারে ফিফা।’

জানা গেছে এক মিলিয়ন ডলারের অর্ধেক এ বছরই পাবে। বাকি অর্ধেক আগামী জানুয়ারিতে। দ্বিতীয় ধাপের টাকার জন্য প্রথম ধাপের টাকার সব খরচ হিসাবও দাখিল করতে হবে।

এছাড়াও নারী ফুটবলের জন্য ৫ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ সেটার জন্যও আবেদন করতে হবে। ফিফা এর জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ফিফা কোভিড-১৯ রিলিফ স্টিয়ারিং কমিটি। এই কমিটির অনুমোদন হলেই টাকার ছাড়।

কোভিড অনুদানের সঙ্গে লোন পাবে ফিফার সদস্য দেশ। এটিকে বলা হয়েছে সুদমুক্ত ঋণ। ফিফা দেখবে আগের বছর কত ব্যয় হয়েছিল। পুরো ব্যয়ের ৩৫ ভাগ ঋণ দেওয়া হবে। এখন বাফুফে সেটি গ্রহণ করবে কি না নিশ্চিত না।

Pin It