ক্যারিয়ার সায়াহ্নেও বিশ্বকাপে নজর কাড়ছেন তারা

image-813706-1717688023

তারা হয়ত বয়সে আর তরুণ নন, তবে তাদের খেলায় তারুণ্যের ছাপ স্পষ্ট। এখনো ক্রিকেট মাঠে তারা ব্যাটে ঝড় তোলেন, বোলিংয়ে ত্রাস জাগান। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বিভিন্ন দলে বেশ কয়েকজন ‘বয়স্ক’ ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে প্রস্তুত।

চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক, এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি বয়সি ৬ ক্রিকেটার কারা…

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ৩৮ (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সবচেয়ে ‘প্রবীণ’ সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৮ বছর বয়সেও জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই অলরাউন্ডার। দলে তরুণ প্রজন্মের অনেক ক্রিকেটার যখন ফর্মহীনতায় খাবি খাচ্ছেন, তখন মাহমুদউল্লাহ ব্যতিক্রম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে রয়েছে একটি ফিফটি এবং দুটি বিশোর্ধ্ব ইনিংস, এছাড়া দুটি ইনিংসে ছিলেন অপরাজিত। এবারের বিশ্বকাপে দলের বেশিরভাগ ব্যাটার আত্মবিশ্বাস সংকটে রয়েছেন। সেখানে মাহমুদউল্লাহ তার অভিজ্ঞতা দিয়ে চমক দিতে পারেন। যেমনটা দিয়েছিলেন গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর দলে সুযোগ পেয়ে আসরে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান এসেছিল তার ব্যাটে।

ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা, ৪৩ (উগান্ডা)

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে উগান্ডা। আর দেশের হয়ে খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়েছেন ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা। এবারের বিশ্বকাপে বেশি বয়সি ক্রিকেটার মাঠে নেমেই গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ অভার বল করে স্রেফ ৪ রান খরচ করে নিয়েছেন ২ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই এখন সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড। ৪৩ বছরের এনসুবুগা প্রথম ম্যাচেই দেখিয়ে দিয়েছেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি কাকে বলে!

নাসিম খুশি, মোহাম্মদ নাদিম ৪১ (ওমান)

চলতি বিশ্বকাপে গড় বয়সের দিক দিয়ে ওমান সবার চেয়ে এগিয়ে। দলটিতে একজন নয়, দু’জন চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটার রয়েছেন। এর মধ্যে নাসিম খুশি উইকেটকিপার এবং মোহাম্মদ নাদিম পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল নাসিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটযাত্রা। এরই মধ্যে ওমানের জার্সিতে ৫০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে তার।

মোহাম্মদ নাদিমের অভিষেক হয় ২০১৫ সালে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি।  ৫৩টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ৪৮৯ রান করার পাশপাশি ঝুলিতে পুরেছেন ৩০ উইকেট।

ওয়েসলি বারেসি, ৪০ (নেদারল্যান্ডস)

কমলা শিবিরের সবচেয়ে বেশি বয়সি ক্রিকেটার উইকেটকিপার ওয়েসলি বারেসি। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জন্ম নেওয়া বারেসির নেদারল্যান্ডসের হয়ে অভিষেক হয়ে ২০১০ সালে। ২০১০ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। এর বছর দুয়েক পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

ডাচদের হয়ে এরই মধ্যে ৪৬টি-টোয়েন্টিতে ৮১২ রান করেছেন, ডিসমিসালের সংখ্যা ২৯। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হয়নি তার। তবে সুযোগ পেলেই বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে পারেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

মোহাম্মদ নবী, ৩৯ (আফগানিস্তান)

আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী এখনো দলটির বড় নির্ভরতার নাম। মারকুটে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কার্যকরী অফ স্পিনে ৩৯ বছর বয়সেও দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলেছেন নবী, যা তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।

আফগানিস্তানের মিডল অর্ডারে ব্যাটিং এবং মিডল ওভারে কিপটে বোলিং করে দলকে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু এনে দিতে পারেন এই অলরাউন্ডার।

Pin It